জেলা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিনকে বিদায়, মুন্সী আব্দুল মজিদকে স্বাগতম

জেলা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিনকে বিদায়, মুন্সী আব্দুল মজিদকে স্বাগতম
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিনকে স্বল্পতম সময় প্রায় ৭ মাস দায়িত্ব পালন করার পর  লক্ষীপুর জেলার জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে পদায়ন করায় ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদকে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদায়ন করার সরকারী প্রজ্ঞাপন জারী করে ২১ মার্চ তারিখের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশের  প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার(২১মার্চ) কক্সবাজার বিচার বিভাগ তাঁর সম্মানে জেলা জজের সম্মেলন কক্ষে এক বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষেও বিদায়ী জেলা জজকে বিদায় ও নবাগত জেলা জজকে বরণ করার জন্য ২৪ মার্চ জেলা আইনজীবী সমিতির নিজস্ব ভবনে ইফতারসহ এক সভার আয়োজন করা হয়েছে । কক্সবাজারের আগের জেলা জজ মোঃ ইসমাইল দীর্ঘতম সময় প্রায় সাড়ে তিন বছর চাকুরী করার পর তাঁকে বদলী করে মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিনকে কক্সবাজারের নতুন জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদায়ন করার খবর পেয়ে তিনি তাঁকে কক্সবাজারে পদায়ন না করার লিখিত অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ী ও তার শ্বশুরের শ্বশুরবাড়ীও কক্সবাজার জেলায় হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের তদবির আসার সম্ভাবনা থেকে তিনি নিরপেক্ষ ও সৎ বিচারক হিসেবে নিজের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে স্বেচ্ছায় আগাম রিপ্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন। তখন মন্ত্রণালয় থেকে তাঁকে কথা দেওয়া হয়েছিল যে তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে অন্য জেলায় বদলী করা হবে। তাই এই দ্রুত বদলীর আদেশ বলে জানা গেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি অনেক অনিয়ম ও জঞ্জাল পরিস্কার করেছেন। ’বিচার বিক্রী’ ও ’জামিন বাণিজ্যের’ দুর্নাম দূর করে আদালত প্রাঙ্গণকে প্রায় দালালমুক্ত করেছেন। উনি কঠিন কাজ সহজভাবে করতে পেরেছেন কারণ বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় কর্মরত সকল বিচারকগণ আল্লাহর রহমতে সৎ, নিরপেক্ষ ও নিষ্ঠাবান। তবে মাত্র কয়েক জনের বিরুদ্ধে আচরণগত সমস্যা আছে বলে আইনজীবীরা অভিযোগ করলেও আইনজীবীদেরও অনেকের আচরণগত সমস্যা আছে। আইনজীবীদের জন্য অবশ্যপালনীয় আচরণবিধির ৪২টি ধারা ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য অনুসরণীয় ১৭ দফা নীতিমালা অনুসরণ করলে আদালত প্রাঙ্গণে তেমন কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আইনজীবীদের আচরণবিধি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এক্ট বই এর সাথে আছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের অনুসরণীয় নীতিমালা  সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত ক্রিমিনাল রুলস এন্ড অর্ডারস ( প্রেকটিশ এন্ড প্রসিডিউর অফ সাবঅরডিনেট কোর্টস ) ২০০৯ এর ভলিয়্যুম ১ এর ৩১১ পৃষ্টায় আছে। 

কয়েক বছর আগে জেলা জজের চেম্বারে তদবিরবাজ নেতাদের প্রকাশ্যে নিয়মিত আসা-যাওয়া দেখেছেন আইনজীবীরা। নেতাদের তদবির ও অনুরোধে প্রতিকার দিতেও দেখেছেন আইনজীবীরা। তা শহীন উদ্দিনের আমলে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে। কেউ তদবির বা অনুরোধ করলে তিনি সেই মামলা নিজে আর শুনানী না করে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে স্থনান্তর করেছেন এবং ফলাফল আইনানুযায়ী যা হওয়ার তা হয়েছে। এতে করে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও সততা সম্পর্কে আইনজীবী তথা বিচারপ্রার্থী জনগণের বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে, হারানো গৌরব অনেকাংশে পুনরুদ্ধার হয়েছে। 
প্রায় ১৪ লাখ আশ্রিত রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজার জেলাবাসীর জন্য প্রধান সমস্যা। দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় লাখো পর্যটকের উপস্থিতি ও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সাহায্য করার জন্য এনজিও ও বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার অত্যাধিক দেশী ও বিদেশী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতির কারণে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় কক্সবাজার জেলায় দ্রব্যমূল্য অনেক বেশী থাকে। সে কারণে সরকারী বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তারা বিশেষ ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের লাগাতার উর্ধ্বগতির কারণে মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে কক্সবাজার জেলার আমজনতার। বিগত বছর দুই বছর ধরে বিভিন্ন সত্য-মিথ্যা মামলার আসামীদের জন্য আর একটি অসহনীয় চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা হল জামিননামা সম্পাদনের সাথে অতিরিক্ত নগদ টাকা জামানত হিসেবে চালানমূলে ব্যাংকে পরিশোধ করার অপ্রত্যাশিত নতুন শর্ত বা নিয়মের কারণে। যা মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত।
জামিনের বিষয় বাংলাদেশে প্রচলিত ১৮৯৮ সালে ফৌজদারী কার্যবিধিতে পরিস্কারভাবে উল্লেখ আছে। ফৌজদারী কার্যবিধিতে জামিনের দরখাস্ত হাইকোর্টে বা দায়রা জজ আদালতে বা বিচারিক আদালতে কিভাবে দাখিল করতে হবে,কিভাবে তা শুনানী ও নিস্পত্তি করতে হবে তার বিধিবদ্ধ নিয়ম শত বছর ধরে চালু আছে। কক্সবাজার জেলায়ও ১৫/১/১৯৮৫খ্রিঃ তারিখ থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিগত ৩৯ বছর ধরে একই নিয়ম চালু ছিল। 
কক্সবাজারে দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এম,এম,রুহুল আমিন সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন, মোঃ আনোয়ার উল হক আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়েছেন, মোঃ এমদাদুল  হক ও ভবানী প্রসাদ সিংহও আইনকানুন ভালো জানতেন বলেই নিজ যোগ্যতায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হয়ে অতি সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে অবসর নিয়েছেন। কক্সবাজার জেলায় দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ১৫জন বিচারকের কেউ জামিননামার  অতিরিক্ত জামানত দিতে আসামীকে নির্দেশ দেওয়ার নজির  নাই। বিচারপতি মোঃ শওকত আলী চৌধুরীও কক্সবাজারে সাবজজ ও সহকারী দায়রা জজের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিও কোন দিন আসামীর জামিননামার অতিরিক্ত নগদ জামানত দেওয়া নির্দেশ দেন নাই। অবসরে যাওয়া দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মেজর(অব) সিনহা হত্যা মামলার রায় প্রদান করে সর্ব মহলে অতি প্রশংসিত হয়ে রহস্যজনকভাবে তার শেষের দেড় বছর জামিনের সাথে জামানত দেওয়ার আদেশ দেওয়ার নিয়ম চালু করেন কক্সবাজার জেলায়।  আসামীর জামানতের টাকা জরিমানার টাকার মত সরকারের টাকা নয়,জামানতের টাকা আইন অনুযায়ী সরকার ইচ্ছা করলেই খরচ করতে পারবে না। কি উদ্দেশ্যে,কার স্বার্থে টাকাগুলো জমা রাখা হয়েছে? টাকা জামানত রাখার সাথে ন্যায় বিচারের কি সম্পর্ক ?   নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের নজিরবিহীন উর্ধ্বগতির সাথে আসামীদের জামিনের জন্য নগদ টাকা জামানত দেওয়ার শর্ত আরোপ করা নজিরবিহীন,বেআইনী ও অমানবিক নয় কি? ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন- খাজনা,টেক্স,কোর্টফিস এর অতিরিক্ত নগদ জামানতে জামিন শুধু কক্সবাজার জেলার অধিবাসীদের উপর প্রযোজ্য হবে কেন? কক্সবাজার জেলার আদালতে নগদ টাকা জামানত দিয়ে জামিন দেওয়ার সংবাদটি জনমনে ভুলবার্তা দিয়েছে। এতে করে স্বভাব-অপরাধীদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে ও অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে। 
                    বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক চৌধুরী জামানত সংক্রান্তে বিগত ২২জুলাই,১৯৮০খ্রিঃ তারিখ এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছিলেন যা ৩৩ ডিএলআর ১৪৬পৃষ্টায়,১ বিএলডি ৬৬পৃষ্টায় ও ১ বিএলসি ৩০পৃষ্টায় প্রকাশিত হয়েছিল। আর,কে,এম রেজার বিরুদ্ধে ২০,১৪৯.৬৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দন্ডবিধির ৪০৯/৩৪ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের ২নং এক্টের ৫(২) ধারার একটি মামলা হলে আসামী রাজশাহী দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে নগদ ২০,০০০ টাকা জমা দেওয়ার শর্তে অন্তবর্তীকালীন জামিন মজ্ঞুর করা হয়,অন্যথায় জামিন বাতিল। আসামী সংক্ষুব্ধ হয়ে সেই আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে ফৌজদারী মিচ মামলা নং ৯০/১৯৮০ দায়ের করলে রুল ইস্যু করা হয়। বিচারপতিদ্বয়ের প্রদত্ত রায়ে টাকা জমা দেওয়ার শর্ত বাতিল করে জামিনাদেশ বহাল রাখা হয়। উক্ত রায়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৯ ধারা ও ৫১৩ ধারা বিস্তারিত আলোচনা ও ব্যাখ্যা করা হয়। ৪৯৯ ধারায় পরিস্কারভাবে উল্লেখ আছে যে সংশ্লিষ্ট আদালতের সন্তোষ্টি অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ অংকের টাকার আসামীর পক্ষে ব্যক্তিগত জামিননামা এবং এক বা একাধিক জামিনদার কর্তৃক সম্পাদিত জামিননামা গ্রহন করে জামিন প্রদানকারী আদালত আসামী কারাগারে থাকলে কারাগারের ভারপ্রাপ্ত অফিসারের বরাবরে আসামীর মুক্তিনামা ইস্যু করবেন এবং তা পাওয়ার পর কারাকর্তৃপক্ষ আসামীকে মুক্তি দেবেন। ৪৯৯ ধারায় নগদ জামানত সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নাই। ৫১৩ ধারা আসামীকে জামিনদার প্রদানে অক্ষম হলে জামিননামার পরিবর্তে নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ বা সমমূল্যের সরকারী প্রতিজ্ঞাপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া  হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট আদালতকে তা জমা দেওয়ার জন্য আসামীকে অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায় একজন রোহিঙ্গা আসামীকে বিশ  হাজার টাকার জামিন মঞ্জুর করা হলে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী একজন আইনজীবী ও একজন স্থানীয় জামিনদার রোহিঙ্গা আসামীকে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে আদালতে হাজির করাতে পারবেন তা নিশ্চিত না হলে কোন আইনজীবী বা স্থানীয় জামিনদার জামিনদার হতে আগ্রহী না হলে সেই রোহিঙ্গা আসামী জামিনদারের পরিবর্তে নগদ জামানত দেওয়ার প্রস্তাব করতে পারেন এবং আদালত তা গ্রহন করার জন্য অনুমতি দিতে পারেন ৫১৩ ধারার ক্ষমতাবলে। ফৌজদারী কার্যবিধির ৫১৩ ধারা আদালতকে আসামীর প্রার্থনামতে জামিনদারের পরিবর্তে নগদ জামানত দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে, নগদ জামানত দেওয়ার শর্ত আরোপ করার ক্ষমতা দেয় নাই।

৪৫ ডিএলআর(এডি) ৮ পৃষ্টায় প্রকাশিত মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী, বিচারপতি শাহাবউদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি এমএইচ রহমান ও বিচারপতি এটিএম আফজলকর্তৃক (তাঁরা সকলে সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন) প্রদত্ত রায়ে ঘোষণা করেছেন যে, শর্তযুক্ত জামিন মঞ্জুর করা অবৈধ। ৯ বিএলডি(এডি)  ৩ পৃষ্টায় প্রকাশিত মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীও জামিনের সাথে শর্ত আরোপ করা অবৈধ। আমার জানামতে মহামান্য সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের উল্লেখিত সিদ্ধান্তগুলি বাতিল করে নতুন কোন রায় বা সিদ্ধান্ত হয় নাই। বরং উল্লেখিত সিদ্ধান্তগুলি সমর্থন করে আরো অনেকগুলি রায় ও সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিম ও বিচারপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ফৌজদারী মিচ ৫৪১৯৪/২০২২ নম্বর মামলায় বিগত ১৫/৩/২০২৩খ্রিঃ তারিখ এবং ফৌজদারী মিচ ১৯৭৬৯/২০২৩ নম্বর মামলায় বিগত ২৯/৫/২০২৩ভ্রিঃ তারিখ প্রদত্ত আদেশ ও রায়ে একই ধরনের সিদ্ধান্ত দিয়াছেন যা ওয়েব সাইটে দেখা যায়।
সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের ঘোষিত রায় বা ঘোষিত আইন সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধস্তন সকল আদালতের জন্য অবশ্যপালনীয় । 
বিদায়ী জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন মহোদয়ের প্রতি কক্সবাজার জেলাবাসীর পক্ষে আইনজীবীদের আবেদন নিবেদনের প্রেক্ষিতে আসামীদের জামিননামার অতিরিক্ত নগদ জামানত দেওয়ার পরিমাণ কম করলেও মোঃ ইসমাইল কর্তৃক চালু করা অবৈধ নিয়ম অব্যাহত রেখেছেন। এতে করে কক্সবাজারবাসী ও আইনজীবীদের মনে অসন্তোষ্টি থাকলেও তিনি বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্য ও বিচারপ্রার্থী জনগণকে ন্যায় বিচার দেওয়ার স্বল্প সময়ে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। কক্সবাজারবাসী তাঁর মত একজন সৎ, দক্ষ, নিরপেক্ষ জেলা জজ হাইকোর্টের বিচারপতি হউন তা প্রার্থনা করেন। 
নবাগত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ চট্টগ্রাম জেলায় দীর্ঘ দিন ধরে বিচারক হিসেবে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে মেধার পরিচয় দিয়েছেন বলে যথেষ্ট সুনাম আছে। বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় দায়িত্বপালনরত বিচারকদের সকলের সততা সম্পর্কে আইনজীবী তথা জনগণের কোন সন্দেহ নেই। তাঁদের নিয়ে আপনি সততা,নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার সাথে জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্ব পালন করবেন,কক্সবাজারবাসী সেই প্রত্যাশা ও প্রার্থনা করেন। বিচারপ্রার্থী জনগণকে ন্যায় বিচার প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনাকে আইনানুগ সহায়তা করার জন্য আইনজীবী সমাজ সদাপ্রস্তুত আছেন।
লেখকঃ একজন কলামিষ্ট, সাবেক সভাপতি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটার, বহু বইয়ের প্রণেতা এবং কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একজন সিনিয়ার আইনজীবী।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কলাম

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.