মো. মাজেদ হোসাইন :
এই দেশের মানুষ অনেক সময় বিচার বিলম্বতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। এর পিছনে অনেক গুলো বিষয় দায়ী। কিন্তু এইসব কিছুর মাঝে আশার আলো ছড়াচ্ছে লিগ্যাল এইড অফিস। এই অফিসে সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক থাকেন। এই অফিসে যেকোন শ্রেণীর মানুষ তার অভিযোগ জানাতে পারে। উক্ত অভিযোগ পাওয়ার পর অপর পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয় এবং একটি নির্দিষ্ট দিনে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। এতে অতি দ্রুত বিরোধের সমাধান পাওয়া যায়। লিগ্যাল এইড অফিসার অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সরজমিনে বসে বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকেন।
লিগ্যাল এইড অফিসের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। লিগ্যাল এইড অফিসের স্টাফ সংখ্যা খুব কম। সরজমিনে যাওয়ার জন্য নিজস্ব কোন গাড়ির ব্যবস্থা নেই। লিগ্যাল এইড অফিসকে যদি আরো বেশি লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া যায় তাহলে এই দেশের বিচার প্রাথীগণ আরো বেশি সেবা পাবে।
লিগ্যাল এইড অফিসে আরো বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক নিযয়োগ করে সেবার পরিধি আরো বাড়ানো যেতে পারে।
বঙ্গবন্ধু্ শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষের দারগোড়ায় বিচারিক সেবা পৌঁছে দিতে লিগ্যাল এইড অফিস হতে পারে অন্যতম মাধ্যম।
২৮ শে এপ্রিল জাতীয় লিগ্যাল এইড দিবস। আমি এই দিবসের সফলতা কামনা করি। লিগ্যাল এইড অফিস, কক্সবাজার আরো অনেক দূর এগিয়ে যাক এই কামনা করি।
লেখক : সহকারী জজ, কক্সবাজার।