হজের ইতিহাস, গুরুত্ব ও তাৎপর্য

হজের ইতিহাস, গুরুত্ব ও তাৎপর্য
মুহাম্মদ শওকত আলী নূর :

ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো হজ। আরবি ‘হজ’ শব্দের বাংলা অর্থ ‘সংকল্প করা’, ‘কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা করা’, নিয়ত করা। ইসলামী ইতিহাসের পরিভাষায় জিলহজ্জ মাসের নির্দিষ্ট তারিখে ইহরামরত অবস্থায় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া পাহাড়ে সায়ি করা, আরাফাত মাঠে নির্দিষ্ট  দিনে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিতি, মিনা-মুজদালিফায় অবস্থানসহ  মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নির্ধারিত নিয়মে আনুষঙ্গিক ইবাদতসমূহ পালন করাকে হজ বলে।
হজ তিন প্রকার যথা:
হজ্জে ইফরাদ-
অর্থাৎ হজ্জের সফর শুরু করার সময় মিকাত থেকে যদি শুধু হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধে এবং হজের সঙ্গে ওমরাহ আদায় না করে তাহলে এ প্রকার হজকে ‘হজে ইফরাদ’ বলা হয়। এ প্রকার হজকারীকে শরিয়তের ভাষায় 'মুফরিদ’ বলে।
হজে কিরান-
অর্থাৎ কেউ যদি একই সঙ্গে হজ এবং ওমরাহর নিয়ত করে উভয়টিই পালন করে এবং হজ ও ওমরাহর জন্য একই ইহরাম বাঁধে, তাহলে এ ধরনের হজকে শরিয়তের ভাষায় ‘হজে কিরান’ বলা হয়। এ প্রকার হজকারীকে ‘ কারিন’ বলে।

হজে তামাত্তু-
হজের সঙ্গে ওমরাহকে এভাবে মেলানো যে ‘মিকাত’ থেকে শুধু ওমরাহর ইহরাম বাঁধা। এই ইহরামে মক্কায় পৌঁছে ওমরাহ পালনের পর ইহরাম ভেঙে ৭ জিলহজ সেখান থেকে হজের ইহরাম বেঁধে হজ পালন করাকে ‘হজে তামাত্তু’ বলে। এ প্রকারের হজকারীকে ‘মুতামাত্তি ’ বলে।
হজের উল্লেখযোগ্য মৌলিক বিষয়গুলো হলো: ১. হজের নিয়ত, ২. ইহরাম বাঁধা, ৩. আরাফাতের মাঠে অবস্থান, ৪. মুজদালিফায় রাত্রিযাপন, ৫. মিনায় অবস্থান এবং শয়তানের প্রতি কংকর নিক্ষেপ, ৬. কাবাঘর তাওয়াফ, ৭. হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর)-এ চুমো দেয়া, ৮. সাফা-মারওয়ায় সাঈকরণ, ৯. কোরবানি করা, ১০. মাথার চুল মুণ্ডন বা কর্তন।
প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে আল্লাহর নির্দেশে আমাদের আদি পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.) সর্বপ্রথম হজের প্রবর্তন করেন। এরপর থেকে নবী-রাসুল পরম্পরায় চলে আসছে হজ পালনের বিধান। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলমানদের ওপর হজ অবশ্যপালনীয় কর্তব্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন শরীফের  কাবাঘর নির্মাণ সম্পর্কিত বিষয়ে  ইরশাদ হয়েছে:  "আর আমি যখন কাবাঘরকে মানুষের জন্য সম্মিলন ও নিরাপত্তার স্থান করলাম আর তোমরা ইবরাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাজের জায়গা বানাও। আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম ঘরটিকে খুব পবিত্র রেখো তাওয়াফকারী ও অবস্থানকারী লোকদের জন্য এবং রুকু-সিজদাকারীদের জন্য।" (সুরা বাকারা, আয়াতঃ১২৫)
হজ প্রবর্তনের আগে হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে প্রিয়পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে সঙ্গে নিয়ে কাবাঘর পুনঃনির্মাণ করেন। কাবাঘরটি হজরত আদম (আ.) ফেরেশতাদের সহায়তায় সর্বপ্রথম নির্মাণ করেন। হজরত ইবরাহিম(আ.) হযরত জিবরাইল (আ.)-এর সাহায্যে একই ভিতে অর্থাৎ হজরত আদম (আ.) কর্তৃক নির্মিত কাবাঘরের স্থানে এটি পুনর্নির্মাণ করেন।
নির্মাণকাজ শেষ হলে ইবরাহিম (আ.)-এর প্রতি মহান আল্লাহর কাছ থেকে  নির্দেশ হলো হজব্রত পালনের। আল্লাহতায়ালা হযরত জিবরাইল (আ.) মারফত তাঁকে হজের সব আহকাম সম্পর্কে অবহিত করেন। ইবরাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে নিয়ে কাবাঘর সাতবার তাওয়াফ করেন, চুম্বন করেন হাজরে আসওয়াদ এবং একে একে সম্পন্ন করেন হজের সব আহকাম। এরপর আল্লাহর নির্দেশ এলো হজের দাওয়াত বিশ্ববাসীকে পৌঁছে দেওয়ার।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যখন হযরত ইবরাহিম (আ.)-কে হজ ফরজ হওয়ার কথা ঘোষণা করার আদেশ দেওয়া হয় তখন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করলেন, এটা তো জনমানবহীন প্রান্তর। এখানে ঘোষণা শোনার মতো কেউ নেই। যেখানে ঘনবসতি আছে সেখানে আমার আওয়াজ কীভাবে পৌঁছবে? 
আল্লাহ বললেন, তোমার দায়িত্ব শুধু ঘোষণা দেওয়া। সারা বিশ্বে পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার। 
এ কথা শুনে হজরত ইবরাহিম (আ.) তখন মাকামে ইবরাহিমে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন। আল্লাহ তা উচ্চ করে দেন।’
কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, তিনি আবু কুবায়েস পাহাড়ে আরোহণ করে ঘোষণা দিয়েছিলেন। বর্ণিত আছে, ‘আল্লাহর রহমতে  ইবরাহিম (আ.)-এর সেই আহ্বান জড়জগতের সীমা অতিক্রম করে রুহানি জগতে গিয়ে পৌঁছেছিল এবং লাব্বাইক বলে যেসব রুহ সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল। 
আল্লাহ চান তো কিয়ামত পর্যন্ত তারাই পর্যায়ক্রমে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হবে!’ 
এভাবে মক্কা পরিণত হলো হজব্রত পালনের মূল ক্ষেত্রস্থল হিসেবে।
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, উম্মতে মুহাম্মদির ওপর নবম হিজরিতে হজ ফরজ করা হয়েছে। শরিয়তের বিধান মোতাবেক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ। 
হজের গুরুত্ব পবিত্র কোরআন শরীফে দেয়া হয়েছে এভাবে -
"বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার শক্তি ও সামর্থ্য যে রাখে, সে যেন হজ করে এবং যে এ নির্দেশ অমান্য করবে সে কুফুরির আচরণ করবে, তার জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ বিশ্ব প্রকৃতির ওপর অবস্থানকারীদের মুখাপেক্ষী নন। (সুরা আলে ইমরান,আয়াত:৯৭)
বিশ্বভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় হজের  গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। হজের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ পবিত্র মক্কা নগরীতে সমবেত হয়। ভাষা-বর্ণ, সাংস্কৃতিতে ভিন্নতা এবং জাতীয় পরিচয়ে পার্থক্য ও ভৌগোলিক দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও পবিত্র হজ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব মুসলিমের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ জাগ্রত ও সুসংহত হয়। বিশ্ব মুসলিমের পারস্পরিক সুখ-দুঃখ, অভাব, অভিযোগ-সমস্যা সম্পর্কে অবগত হওয়া ও এসব সমস্যার  সমাধানের সুযোগ হয় পবিত্র হজের বিশ্ব সম্মেলনে। 
হজের মহামিলন এক গণতান্ত্রিক বিশ্ব সম্মিলন। এ সম্মেলনে বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলিমের অংশগ্রহণে রয়েছে অবারিত সুযোগ।  জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন-সংস্থার সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট দেশ-জাতির নেতা ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। কিন্তু হজের সম্মেলনে বিশ্বের সর্বস্তরের মুসলিমের অংশগ্রহণের সুযোগ অবারিত। উঁচু-নিচু, ভাষা-বর্ণ, জাতি-গোত্র নির্বিশেষে বিশ্বের
সামর্থ্যবান যেকোনো মুসলিমের নিঃশর্তভাবে হজ করার অধিকার ইসলাম সম্মত।
হজ এক ধরনের দীর্ঘ সফর বা ভ্রমণ হলেও তা  কিন্তু কোনো ভ্রমণবিলাস নয়। বরং এর মধ্যে লুকায়িত আছে মহান আল্লাহর প্রতি অগাধ আস্থা-আনুগত্য আর শ্রদ্ধা-ভালোবাসা। নিজের উপার্জিত অর্থ ব্যয় এবং দৈহিক কষ্ট করে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশা করা হয় পবিত্র হজে।
মূলত হজ একটি অনন্য ইবাদত, যাতে সমন্বয় ঘটেছে আর্থিক ত্যাগ ও দৈহিক কসরত। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সংহতিতেও হজের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। হজ মৌসুমে মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোয় বিশেষত সৌদি আরবের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়। এ সময় ব্যবসায়ী বিশ্ব মুসলিম নেতারা আলাপ-আলোচনা, চুক্তির মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধিশালী করার সুযোগ পান। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিম নেতারা পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান ও করতে পারেন।
হজব্রত পালনের মাধ্যমে আমরা কিছু বিষয় গুরুত্ব দিয়ে শিখতে পারি। যেমন-
১.হজের একটা স্লোগান আছে, যাকে বলা হয় ‘তালবিয়া’। হজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে সবার মুখে ধ্বনিত হয়  ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি। 
আরেকটা স্লোগান হাজিরা এবং যারা হজে যাননি তারাও উচ্চারণ করেছেন। সেটা হচ্ছে তাকবিরে তাশরিক- ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’। এই দুটো স্লোগানই আমাদের অভিন্ন এক শিক্ষা দেয়, সেটা হচ্ছে তাওহিদ ও আল্লাহর একত্ববাদ। হজের বড় একটি শিক্ষা এটাই যে, জীবনে কখনো আল্লাহর সঙ্গে শিরক করব না বরং তাওহিদ ও একত্ববাদের বিশ্বাস অন্তরের গভীরে ধারণ করব এবং জীবনজুড়ে তা রক্ষণাবেক্ষণ করব। 
২. হজের আরেকটি শিক্ষা হচ্ছে ইখলাস ও আন্তরিকতার সঙ্গে আমল করা। আল্লাহ বলেছেন,  'তোমরা হজ বা ওমরাহ যাই করো, কেবল আল্লাহর জন্যই করো।
৩. হালাল-হারাম মেনে চলার চেষ্টা। আমরা লক্ষ্য করি যে,  অনেকেই হজের জন্য হালাল উপার্জনের টাকা সঞ্চয় করেন।   সারা জীবন যেন আমরা  হালাল উপার্জন করি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অভ্যাস ধরে রাখা। আমরা পবিত্র মক্কায় হারামশরীফে  ও পবিত্র মদীনায় মসজিদে নববীতে নিয়মিত নামাজ আদায়ের আধা ঘণ্টা আগে প্রবেশ করে নামাজের জন্য জায়গা করে নিয়ে থাকি। আমাদের বাকি জীবনেও যেন এ শিক্ষা ধরে রাখি। 
৫. হজে আমরা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ি। এটা নিয়মিত পড়ার অভ্যাস অব্যাহত রাখি।
৬. মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। হজের সময়ে আমরা দীর্ঘ  ৩৫-৪০ দিন বাড়িতে অনুপস্থিত থাকলেও  সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। আমরা নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করতে পারি, কিন্তু হাশরের ময়দানে আমাদের  আমল ছাড়া আর কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ থাকবে না। কাজেই আমল বাড়াতে কাজ করতে হবে। 
৭. ধৈর্য কাকে বলে হজে যাওয়া হাজিরা বেশ ভালোই জানেন। ৩০- ৪০ দিন  বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়।
৮. পৃথিবীতে আল্লাহ পরীক্ষা করবেন। পুরো হজেই আল্লাহ সেটা বারবার দেখিয়েছেন। সব হাজিই পরীক্ষা দিয়েছেন। সারাজীবনই আমাদেরকে পরীক্ষা দিতে হবে। 
৯. হজে সবাই কথাবার্তায়, আচরণে সংযত থাকেন। শত সমস্যার মধ্যেও নানা ধরনের গালাগাল  করা থেকে বিরত থাকেন। 
১০. পুরে হজে হাজীরা অশ্লীলতামুক্ত জীবন অতিবাহিত করেন। পরবর্তী সময়ে ও সকলের  অশ্লীলতামুক্ত জীবন কাটানোর চেষ্টা করা দরকার। 
১১. যে যত বড় মাপের ব্যক্তিই হোক না কেন, হজে  সবাইকে মহান আল্লাহ শুইয়ে দিয়েছেন। মুজদালিফায় সকলে মাটিতে  ঘুমিয়েছেন। সকলেই আল্লাহর কাছে সমান। অহংকার করার মতো আমাদের কিছুই নেই। 
১২. প্রত্যেক হাজী হজের সময়ে  অন্যকে প্রাধান্য দেন। অন্যের বোঝা বহন করেন, বসার সুযোগ করে দেন, পানি পান করান,  আরো কতো সহযোগিতা করা হয়। এটাকে পরবর্তী সময়ে ধরে রাখার চেষ্টা আমাদের থাকতে হবে। 
১৩. হজের সময়ে  দোয়া-মোনাজাতে আল্লাহর জন্য চোখের পানি ফেলা, পবিত্র  কাবার সামনে, আরাফার ময়দানে এমন অনেক মানুষও চোখের পানি ফেলে কান্না করেছেন, যিনি বাস্তব জীবনে অনেক রূঢ়। কাজেই আল্লাহর ভীতি সর্বদা মনে রাখতেই হবে।
১৪. আল্লাহর কাছে সবাই সমান, হজে সকলের একই কাজ।  মিনায়, আরাফাতের ময়দানে, জামারায় সবাই একই সাদা পোশাকে একই কাজ করে যাচ্ছে। এই দৃশ্য আমাদের এই শিক্ষাই দেয় যে, কোনো মানুষ বড় নয় সকলেই একই। একমাত্র আল্লাহই মহান, বড়।
১৫. হজে তাকদিরের ওপর দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে। প্রায় দেখা যায় যে, হজের পুরো সময়ে যা হওয়ার কথা ছিল সেটা হয়নি বরং এমন অনেক কিছু হয়েছে যা হওয়ার কথা ছিল না। কাজেই  আমাদের কথাই শেষ নয়, মহান  আল্লাহর কথাই শেষ কথা।
১৬. হজের পুরো সময়টায় আমারা ইচ্ছামতো কিছু করতে পারিনি। কষ্ট হলেও আল্লাহর  নির্দেশ পালন করেছি। কাজেই  সারাজীবন আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে। 
১৭. আমরা পৃথিবীতে আল্লাহর আদেশে এসেছি এবং আল্লাহর আদেশেই যাব। মিনা-আরাফা- মুজদালিফা  ময়দানে সকলের  এ অনুভূতিই হয়ে থাকে যে, আমাদের জীবন যেহেতু আল্লাহর পক্ষ থেকে, তাই বাকি জীবনও যেন মহান  আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়ে থাকে।
লেখক : প্রাবন্ধিক
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কলাম

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.