কক্সবাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে অপহৃত ৩ শিশু এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও র্যা ব। এর মধ্য পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে অপহৃত ৩ শিশু। এসময় আটক করা হয়েছে অপহরণ চক্রের ২ সদস্যকে। অপর এক অভিযানে অপহৃত রোহিঙ্গা নেতাকে উদ্ধার করেছে র্যাচব। এসময় আটক করা হয়েছে চক্রের এক সদস্যকে।
এর মধ্যে বুধবার ভোরে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউপনয়নের পূর্ব লারপাড়ার উত্তরণ পাহাড়ী এলাকা থেকে পুলিশের অভিযানে চালিয়ে ৩ শিশুকে উদ্ধার করে। এই ৩ শিশু হল, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার মো. জায়েদ (১৪), মো. রাহাত (১৪) ও মো. ছাদেক (১৫)।
আটক ২ জন হলেন, মো. ডালিম (১৯) ও মেহেদী হাসান (১৯)। দুই জনই কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউপনয়নের পূর্ব লারপাড়ার বাসিন্দা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার মো. মহসীন মৌখিকভাবে জানায় তার ছেলে মো, জায়েদ, ছেলের বন্ধু মো. রাহাত ও মো. ছাদেক গত সোমবার কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা অপহরণকারী চক্র ৩ শিশুকে অপহরণ করে। এরপর পরিবারের কাছে ফোন করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যার সূত্র ধরে নগদ এজেন্ট নম্বর থেকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেছে। এর সূত্রধরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবস্থান সনাক্ত করেন। এরপর পূর্ব লাহার পাড়া গহীন পাহাড়ে ৯ ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত তিন শিশুকে উদ্ধার ২ জনকে আটক করে।
তিনি জানান এব্যাপারে মামলা করে আটকদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অপর দিকে বুধবার ভোরে কক্সবাজারের দরিয়ানগর পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতাকে উদ্ধার করে একজনকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ রফিক, উখিয়ার ১৯ নম্বর ক্যাম্পের প্রধান ইনচার্জ (হেড মাঝি)।
আটক মোঃ শাহ আলম (৪২) কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীর বাসিন্দা।
র্যা ব ১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানিয়েছেন, গত ২১ এপ্রিল কক্সবাজার আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করতে এসে অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ রফিক। এরপর ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয় র্যাকবকে অবহিত করার পর র্যা।ব অবস্থান শনাক্ত করে দরিয়ানগর পাহাড়ী এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করে ১ জনকে আটক করে। এ ব্যাপারে মামলা করে আটককে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
