আমানতদারিতা রক্ষায় আমরা সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : এসআইবিএল এমডি

আমানতদারিতা রক্ষায় আমরা সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : এসআইবিএল এমডি
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর আলম। ১৯৯২ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু হয় তার। এসআইবিএলের অর্জন, লক্ষ্য ও সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। বণিকবার্তায় প্রকাশিত হয়েছে এই সাক্ষাৎকার।

সাংবাদিকতা ছেড়ে ব্যাংকার হয়েছিলেন। ২৯ বছর পর অধিষ্ঠিত হলেন ব্যাংকের সর্বোচ্চ পদে। দীর্ঘ এ পথচলা সম্পর্কে জানতে চাই।
আমার কর্মজীবনের প্রথম চাকরি ছিল সাংবাদিকতা। সুনাম ও মর্যাদার সঙ্গেই সাংবাদিকতা করছিলাম। পত্রিকার আন্তর্জাতিক ডেস্কে কাজ করার পাশাপাশি যুক্ত ছিলাম রিপোর্টিংয়েও। সাংবাদিকতা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। একদিন তীব্র জ্বরের কারণে অফিসে যেতে পারিনি। ওইদিন ভাবলাম, মেধা ও নতুন চিন্তা করার ক্ষমতা হারালে জীবন চালাব কীভাবে? চাকরির বয়সসীমাও শেষ হয়ে আসছিল। এ সময়ে পত্রিকায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রবেশনারি অফিসার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। কাউকে না জানিয়ে আবেদন করি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগদানপত্রও হাতে পেলাম। কিন্তু এর পরও সাংবাদিকতা ছাড়তে কষ্ট হচ্ছিল। ব্যাংকে যোগদানের আগের দিন মধ্যরাত পর্যন্তও পত্রিকা অফিসে কাজ করেছি। কেউ বুঝতে পারেনি, সাংবাদিকতায় সেটিই আমার শেষ দিন। এভাবে পেশাদার সাংবাদিকতা ছেড়ে ব্যাংকার হয়ে ওঠা। তবে সাংবাদিকতার দিনগুলোতে শেখা প্রতিটি অভিজ্ঞতা আমার ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে কাজে লেগেছে। কর্মজীবনের দীর্ঘ একটি সময় আমি শাখা ব্যাংকিংয়ে যুক্ত ছিলাম। রাজধানীর ছয়টি শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছি। শাখায় কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ব্যাংকিং পেশায় আমাকে সমৃদ্ধ করেছে।
প্রায় এক বছর এসআইবিএলের শীর্ষ নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ে ব্যাংকটির মৌলিক কী পরিবর্তন এনেছেন?

২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর আমি এসআইবিএলের শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্ব গ্রহণ করি। এর আগে ২০১৭ সালে কিছুদিন এ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলাম। পরে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এ কারণে আগে থেকে এসআইবিএল সম্পর্কে আমার জানাশোনা ছিল। শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে ব্যাংক বুঝে নিতে কোনো সময় লাগেনি। এসআইবিএলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. মাহবুব উল আলম। ইসলামী ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ব্যাংকের অন্য পরিচালকরাও এসআইবিএলকে একটি আধুনিক ও গণমানুষের ব্যাংক হিসেবে দেখতে চান। পর্ষদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশা আমার পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছে। এরই মধ্যে এসআইবিএলের শাখাগুলোকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে জোনাল অফিস স্থাপন করেছি। ব্যাংকের শরিয়াহ নীতিমালা পর্যালোচনার মাধ্যমে সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। এসআইবিএলকে সত্যিকার অর্থেই পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ প্রডাক্টগুলোকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
এসআইবিএলের আর্থিক সূচকগুলোর প্রবৃদ্ধি কেমন?
শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে যোগদানের পর পরই এসআইবিএলের সেবাগুলো বহুমুখীকরণের পদক্ষেপ নিয়েছি। আরো বেশিসংখ্যক মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার জন্য নতুন কিছু সেবা যুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ব্যাংকের আমানত ও বিনিয়োগ বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকের নন-ফান্ডেড ব্যবসা যেমন আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এতে ব্যাংকের পরিচালন মুনাফাও বেড়েছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। একই সময়ে ব্যাংকের বিনিয়োগও ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। খেলাপি ঋণের হার ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে কমে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশে নেমেছে। এক বছরে এসআইবিএলের গ্রাহকও ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। গত ছয় মাসে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা বড় সাফল্য পেয়েছি। এ সময়ে বৈদেশিক বাণিজ্য বেড়েছে ৪২ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর মধ্যে রফতানি ৩৫ দশমিক ১৯, আমদানি ৪২ দশমিক ৮৩ এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ ৭১ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বৈদেশিক করেসপন্ডেন্টও ৫ শতাংশ বেড়েছে।
এসআইবিএল আজ ২৮ বছরে পদার্পণ করছে। দীর্ঘ এ পথচলায় আপনাদের অর্জনগুলো কী?
দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে এসআইবিএলের যাত্রা ১৯৯৫ সালের ২২ নভেম্বর। কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারার প্রবর্তন এবং প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দেশের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ এ পদযাত্রার প্রতিটি মুহূর্তই ছিল সমৃদ্ধির। দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হয়েও এটি প্রথম প্রজন্মের অনেক ব্যাংককে পেছনে ফেলেছে। এসআইবিএল এখন ৪৩ হাজার কোটি টাকা সম্পদের একটি ব্যাংক। আমাদের কাছে আমানত হিসেবে জমা আছে গ্রাহকদের ৩৬ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। আমরা ৩৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা গ্রাহকদের মাঝে বিনিয়োগ করেছি। বস্ত্র, তৈরি পোশাক, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ভারী শিল্প, কৃষি, এসএমইসহ দেশের প্রতিটি সম্ভাবনাময় শিল্পে এসআইবিএল বিনিয়োগ করেছে। নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এসআইবিএল।
সারা দেশে ১৭৯টি শাখা, ১৪৫টি উপশাখা, ৩০৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, ১৯৬টি এটিএম বুথসহ ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল অ্যাপসহ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছি। দুটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি এ ব্যাংককে সমৃদ্ধ করেছে। গণমুখী ব্যাংকিংয়ের ফলে এসআইবিএলের গ্রাহকসংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়েছে। এ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকই আমাদের মূল শক্তি। তাদের সন্তুষ্টিই আমাদের বড় অর্জন। এ দীর্ঘ যাত্রায় দেশীয় শিল্প বিকাশ, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার, এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি, রফতানি, রেমিট্যান্সসহ সব ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এসআইবিএলের গ্রাহকরা ঘরে বসেই সেবা নিতে পারছেন।
সেবার মান ও ব্যাংকের সম্প্রসারণ ঘটাতে নতুন কী প্রডাক্ট এনেছেন?

দেশের সব শ্রেণীর মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে আমাদের একটি বিস্তৃত সেবাভাণ্ডার রয়েছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত এ ব্যাংকের আমানত প্রডাক্ট ছিল ২১টি। মানুষের মৌলিক বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা ২০২২ সালের শুরুতেই চালু করেছি এসআইবিএল শিক্ষা সঞ্চয় স্কিম, এসআইবিএল চিকিৎসা সঞ্চয় স্কিম এবং এসআইবিএল বিবাহ সঞ্চয় স্কিম নামে আরো তিনটি নতুন ডিপোজিট প্রডাক্ট। এ প্রডাক্টগুলোর অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এগুলো শুধু সঞ্চয় প্রকল্পই নয়, প্রয়োজনে এসব স্কিমের বিপরীতে সঞ্চয়ের দ্বিগুণ বিনিয়োগ গ্রহণের সুবিধা রাখা হয়েছে।  এরই মধ্যে এ স্কিমগুলো সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। এছাড়া শিগগিরই প্রবাসী ডিপোজিট স্কিম, রিটায়ার্ড সিটিজেন মান্থলি বেনিফিট স্কিম, হকার্স ডিপোজিট অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন স্কিম এবং মুদারাবা ঐচ্ছিক ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট নামে চারটি নতুন ডিপোজিট প্রডাক্ট চালু করা হবে।
এর পাশাপাশি রয়েছে ২৫ ধরনের বিনিয়োগ সেবা, ১১ ধরনের এসএমই বিনিয়োগ, তিন প্রকার কৃষি বিনিয়োগ এবং ছয় ধরনের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং আমদানি, রফতানি, রেমিট্যান্সসহ সব বৈদেশিক বাণিজ্যসংক্রান্ত সেবা। কনজিউমার বিনিয়োগের আওতায় শিক্ষার্থীদের অতি প্রয়োজনীয় ডিজিটাল ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য বিনা জামানতে বিনিয়োগ সুবিধা চালু করেছি এ বছরই। সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক বা সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী, প্রফেশনালস (যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সিএ), বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য দেশে ব্যবহূত সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ গ্রহণের সুবিধা চালু করেছি। এছাড়া সম্প্রতি বাড়ির ছাদে শখের বাগান করতে এসএমই ও কৃষি বিনিয়োগের আওতায় বিনা জামানতে ছাদ কৃষি বিনিয়োগ চালু করেছি।
গ্রাহকদের প্রযুক্তিগত সেবা দিতে আপনাদের উদ্যোগ কী?

এসআইবিএল গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা সেবা দেয়ার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ কল সেন্টার চালু করা হয়েছে। ‘এসআইবিএল নাউ’ নামে আমাদের একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। এ অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ থেকে শুরু করে ব্যাংক হিসাব খোলা, ডিপোজিট ও ইনভেস্টমেন্ট হিসাবের কিস্তি জমা, ফান্ড ট্রান্সফার, ইউটিলিটি বিল দেয়া, ক্রেডিট কার্ডের বিল দেয়া, কিউআর কোড দিয়ে টাকা তোলা, বিকাশ ও নগদে ফান্ড ট্রান্সফার, ব্যালান্স অনুসন্ধান, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ব্যবহার, কল সেন্টারের মাধ্যমে ওটিপি ভেরিফিকেশন, ব্যাংকের শাখা, উপশাখা ও এটিএম বুথের অবস্থান ইত্যাদি সেবা উপভোগ করতে পারছেন। ঘরে বসেই এখন গ্রাহকরা ই-অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মোবাইলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছেন এবং কিউআর কোড দিয়ে চেকবই বা ডেবিট কার্ড ছাড়াই শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারছেন।
‘এসআইবিএল নাউ’ অ্যাপ ব্যবহার করে বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা (এনআরবি) মোবাইল থেকেই ই-অ্যাকাউন্টও খুলতে পারছেন। এ হিসাব খুলে এনআরবি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার একটি ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ড পাচ্ছেন, যেটি দিয়ে দেশে-বিদেশে সব জায়গায় কেনাকাটা, টাকা উত্তোলন ও অনলাইন ট্রানজেকশন করা যায়। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এ সেবার ফলে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্স সেবা আরো সহজ ও বিস্তৃত করতে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম বাংলাদেশী ব্যাংক হিসেবে আমরা তহবিল সংগ্রহের জন্য ৭৫ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক সুকুক ইস্যু করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়েছি।
প্রতিষ্ঠার দিনে এসআইবিএলের গ্রাহক, কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে আপনার বার্তা কী?

এসআইবিএলের দীর্ঘ ২৭ বছরের পথচলার প্রতিটি সঙ্গীকে আমি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সম্মানিত গ্রাহকরা এ ব্যাংকের শুভেচ্ছাদূত। তাদের সর্বোত্কৃষ্ট সেবা দেয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এসআইবিএলের গ্রাহক ও দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান হলো আপনাদের প্রতিটি অর্থের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমাদের কাছে আপনাদের প্রতিটি অর্থই নিরাপদ। আমানতদারিতা রক্ষায় আমরা সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, ইসলামী ধারার ব্যাংকের মধ্যে এসআইবিএলকে শীর্ষ তিনে নিয়ে যাওয়া।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

অর্থনীতি

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.