মুক্তি কক্সবাজারের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তি কক্সবাজারের উপ-প্রধান নির্বাহী সৈয়দ লুৎফুল কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইন-চার্জ) বিজয় কুমার ভট্টাচার্য, JICA SHASTO-2 প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুস শুকুর, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির এলাকা ব্যবস্থাপক মিন্টু কান্তি দে, ঈদগাঁও শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চৌফলদন্ডী শাখার ব্যবস্থাপক ছৈয়দ করিম এবং ভারুয়াখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। 

অতিথিবৃন্দ মেলার প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করে কিশোর-কিশোরীদের সৃজনশীল কাজের প্রশংসা করেন এবং বলেন, 'আমরা দেখেছি নতুন প্রজন্মের ভাবনার দীপ্তি, হৃদয়ের উষ্ণতা এবং সমাজ গঠনের দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা। তারা শুধু স্বপ্ন দেখেনি, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।'
 তারা আরও বলেন, 'এ আয়োজন প্রমাণ করে কৈশোর মানেই সম্ভাবনার উন্মেষকাল। যথাযথ সুযোগ দিলে তারা হতে পারে ভবিষ্যতের মানবিক ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের পুরোধা।'

আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ২৫ মে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ২০ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করেন এবং ৬ জন মেন্টরকে (প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ১ জন) সামাজিক কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন। সৃজনশীল প্রদর্শনীতে পুরস্কার অর্জন করে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের 'পরিকল্পিত নগরী ও নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা' এবং চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের 'কারিগরি শিক্ষা' ও 'অপরাধমুক্ত সমাজ গঠন' উদ্যোগ। 

বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (ভারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক), সাদ্দাম হোসাইন (চৌফলদন্ডী ফুটবল একাডেমির সেক্রেটারি), সরওয়ার আজম মানিক (চ্যানেল আই-এর স্টাফ রিপোর্টার) এবং প্রতিভাবান শিল্পী নিশি শর্মাকে।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা আয়োজকদের আন্তরিকতা ও সফল আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং সমৃদ্ধি কর্মসূচির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান। এই মেলা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে, যা আগামী দিনের সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই আয়োজনের মাধ্যমে মুক্তি  কক্সবাজার বিশ্বাস করে এভাবেই একটি স্বপ্ন, একটি সুযোগ ও একটি সমাজ পরিবর্তনের পথচলা কাঙ্খিত পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব  হবে ।