নিরাপদ মাসিক ব্যবস্থাপনার ওপর কিশোর-কিশোরী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস উদযাপন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মো: ইবনে মায়াজ প্রামানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী।
ইউনিসেফের ওয়াশ অফিসার সাজেদা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহিন মিয়া, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ কনিনিকা দস্তিদার, ইউনিসেফ কক্সবাজারের ওয়াশ বিশেষজ্ঞ রাফায়েল নওরোজ, বিয়াম ফাউন্ডেশনের অধ্যক্ষ মোঃ শরিফুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দু:স্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), ব্র্যাক, কেয়ার বাংলাদেশ, আইডিই বাংলাদেশ, হাইসাওয়া, ওয়ার্ল্ড ভিশন, অক্সফাম, ভার্ক, এনজিও ফোরামের যৌথ উদ্যোগ প্রতি বছরের ন্যায় এ দিবসটি উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফার ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, যেহেতু শিশুদের বয়ো:সন্ধিকাল মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সেদিক বিবেচনায় শিশুদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর। নারীদের নিরাপদ মাসিক উপকরণ নিশ্চিতে আমরা আগামীতে পদক্ষেপ নিবো। বিশেষত: আজকাল ক্যামিক্যাল যুক্ত সুগন্ধি স্যানিটারী ন্যাপকিন ব্যবহারের ফলে মেয়েদের যৌনাঙ্গে ভালো ব্যাকটেরিয়াসমুহ ধ্বংস করে ফেলে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের উজ্জ্বীবিত করে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে।
এছাড়াও বক্তাগণ মাসিক দিবস উপলক্ষে মাসিক সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রত্যাশা এবং করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানে জেলার প্রায় বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন মেয়ে শিক্ষার্থীসহ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে সকলে গণস্বাক্ষর করে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেদের পরিবর্তনের জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হন। পরে মধ্যাহ্নভোজ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।