কক্সবাজারের টেকনাফের সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় বসতঘর থেকে মিনারা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিনারা বেগম টেকনাফের মহেশখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্ত্রী। তাঁর বাবার বাড়ি উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পূর্ব পাড়া এলাকায়। চার সন্তানের জননী ছিলেন মিনারা বেগম।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে যৌতুক দাবির পাশাপাশি আরেকটি বিয়ে করার ভয় দেখিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এটি আত্মহত্যা নয়, বরং স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘরের সিলিং এর সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন।
পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতে ওই গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করা হয়। গলায় দড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মিনারা বেগমের বড় ভাই মো. ইলিয়াস বলেন, গতকাল রাতে তাঁর ছোট বোনের স্বামী মোহাম্মদ ইব্রাহিম ফোন করে মিনারা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজায় তালা লাগানো। তালা খোলার পর দেখা যায়, তাঁর বোনের লাশ ঝুলে রয়েছে। ইব্রাহিম তালা খুলে দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
মো. ইলিয়াস আরও বলেন, যৌতুকের দাবিতে তাঁর ছোট বোনকে নির্যাতন করে আসছিলেন ইব্রাহিম। বোনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ বিষয়ে মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিনারা বেগমের স্বামী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত পেলে ওই নারীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।