পেকুয়ায় বিশাল সংবর্ধনা সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, নতুন ভাবে অর্জিত স্বাধীনতা অর্থবহ করে তোলতে হবে। অজস্র শহীদের রক্ত স্রোতে অর্জিত এ স্বাধীনতায় সকল নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে। জুলুম অত্যাচার চলবে না। আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি যে দেশে মানুষ গুম, খুন ও হত্যার শিকার হবে।
তিনি আরো বলেছেন, জনগনের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে আওয়ামী স্বৈরাচার ও বাকশালীদের পতন হয়েছে। জনগনের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপির এ নেতা বলেছেন আমি ১০ বছর পরেই আমার এ মাতৃভূমি পেকুয়ায় এসেছি। আপনাদের কাছে আমি ঋণী ও চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। হাসিনা সরকার আমাকে ৬১ দিন গুম করে রেখেছিল। পরবর্তীতে ভারতে পাচার করে দেয়। আমি একটি গুহার মধ্যে মৃত্যুর প্রহর গুণছিলাম। বলছিলাম আমাকে যদি তোমরা মেরেও ফেল আমার লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
২৮ আগস্ট (বুধবার) সন্ধ্যার দিকে পেকুয়া কলেজ গেইট চৌমুহনী চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পেকুয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিশাল এই সংবর্ধনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পেকুয়ার সভাপতি ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম, বাহাদুর শাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়ার সাবেক সাংসদ ও সালাহ উদ্দিন আহমদের সহধর্মিণী এডভোকেট হাসিনা আহমদ। এ ছাড়াও বিএনপির জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মী, অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রিয় নেতাকে এক নজরে দেখতে পেকুয়া ছাড়াও চকরিয়া, মাতামুহুরী উপজেলা, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন ছাড়াও সর্বস্তরের লোকজন সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন।