পেকুয়ায় দু’শিক্ষার্থীসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম

পেকুয়ায় দু’শিক্ষার্থীসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
কক্সবাজারের পেকুয়ায় শিলখালীর জারুলবুনিয়া সেগুনবাগিচা দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় দু’শিক্ষার্থীসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ১ জনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহতরা হলেন-জারুলবুনিয়া সেগুনবাগিচার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র নুরুল আলম (৬০), সাহাব উদ্দিনের পুত্র কলেজ ছাত্র আবদু রহমান বাবু (১৯), তার বোন জারুলবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শাকিলা আক্তার (১৫), সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী সামশুন্নাহার (৪০), মো: কাইছারের স্ত্রী তানজিদা বেগম (২৪)।

স্থানীয় মনু সওদাগর জানান, ওই দিন রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কলেজ ছাত্র আবদু রহমান বাবু ও প্রতিবেশী মৃত আবদু শুক্কুরের পুত্র রিদুওয়ান প্রকাশ মনিয়ার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় তারা দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। নুরুল আলমসহ স্থানীয়রা এসে এ দু’জনের মারপিট থামিয়ে দেন। তবে এ পরিস্থিতির জন্য নুরুল আলমসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা রিদুওয়ান প্রকাশ মনিয়াকে দায়ী করে। তারা এক পর্যায়ে মনিয়াকে বকাঝকা করে। এর কিছুক্ষণ পরে রিদুওয়ান প্রকাশ মনিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জনের দুবৃর্ত্তরা ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে নুরুল আলম ও কলেজ ছাত্র বাবুর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা বাবু, তার বোন স্কুল ছাত্রী শাকিলা আক্তার ও বাবুর মা শামসুন্নাহারকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এরপর নুরুল আলমের বাড়িতে গিয়ে নুরুল আলমকে বাড়ি থেকে টানা হ্যাচড়া করে বের করে। এক পর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে নুরুল আলমের বাম হাতে মারাত্মক জখম করে। পিতাকে উদ্ধার করতে নুরুল আলমের মেয়ে কাইছারের স্ত্রী তানজিদা বেগম এগিয়ে আসে। এ সময় তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। 
নুরুল আলমের মা বদিউজ্জামাল (৮০) জানান, আমার ছেলে শ্বাসকষ্টের রোগী। মনিয়া বাড়িতে এসে কুপিয়ে জখম করেছে। জকির আলমের স্ত্রী ছালেহা বেগম জানান, মনিয়া দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। ৫/৬ টি বিয়ে করেছে। এখানে অনেক জনকে ঘটনা করেছে। আমি ও আমার ননদ পারভীনকে কিছুদিন পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা বিচার পাইনি। নুরুল আলমের মেয়ে খোরশিদা জানান, হামলার পর বাবাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দিয়েছে। মনিয়া, মুবিন, কমরুদ্দিন, আবদুল আজিজ, সালাহ উদ্দিন, লাদেনসহ ১০/১২ জন এসে হামলা করে। এখানে পাহাড়ের মধ্যে কেউ ভয়ে আসেনি তাদের সামনে। এরপর বাবুকে তারা তোলে নিয়ে গিয়েছিল। পাহাড় থেকে গভীর রাতে প্রায় শতাধিক লোকজন নিয়ে তাকে উদ্ধার করেছে। সে অজ্ঞান ছিল। পেকুয়া থানার ওসি মো: ইলিয়াছ জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।    
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.