পেকুয়ায় দন্ত চিকিৎসালয় থেকে শাখাওয়াত উল্লাহ (২৪) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পেকুয়া বাজারের একটি প্রাইভেট ডেন্টাল কেয়ার থেকে পেকুয়া থানা পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। শাখাওয়াত উল্লাহ টইটং ইউনিয়নের কইড়ার পাড়া এলাকার মৃত শফিউল্লাহ চৌধুরীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কেয়া ডেন্টাল কেয়ার চিকিৎসালয়ে দাঁতের ডাক্তার দেখাতে একজন মহিলা রোগি আসেন। তিনি চেম্বারের ভিতরে ঢুকে দেখতে পান চিকিৎসালয়ের দ্বিতীয় কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে গলায় রশি প্যাঁচানো একজন যুবক ঝুলছে। এসময় তিনি চিৎকার করলে পাশের লোকজন জড়ো হন এবং তাদেরকে গলায় ফাঁস লাগানো লাশের কথা বলেন। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাঁরা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দন্ত চিকিৎসক সৈয়দ এম এ মুসার পরিচালিত কেয়া ডেন্টাল কেয়ারে সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন শাখাওয়াত উল্লাহ। সকালে শাখাওয়াত চিকিৎসালয়ে আসলেও সৈয়দ মুসা চেম্বার করেননি। মুসা এসময় তাঁর নিজ বাড়ি শিলখালীতে অবস্থান করছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
নিহতের মা রানু আক্তার বলেন, দুই মাস আগে তাঁর ছেলে মুসার সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। সকাল ১০টার দিকে শাখাওয়াত বাড়ি থেকে মুসার চেম্বারে আসে। বিকেলে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনলাম।
এবিষয়ে সৈয়দ এম এ মুসা বলেন, শাখাওয়াত দুই মাস ধরে আমার চেম্বারে কাজ করেন। দুপুর দেড়টার দিকে আমাকে ফোন করে চার হাজার টাকার প্রয়োজন বলে জানান। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম। আমি সন্ধ্যায় চেম্বারে আসলে দিবো বলছি। বিকেলে শুনলাম সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়নাদতন্তের জন্য কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হবে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা ময়নাতদন্তের পরেই বলা যাবে।