কুতুবদিয়া উপজেলায় এক যুবককে প্রকাশ্যে দিবালোকে দলবল নিয়ে ধারালো দা, চাপাতি ও রড দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মোঃ আওরঙ্গজেব মাতবর এর উপর।
১৭ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মলমচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবকের নাম আবুল মনছুর আনিস। তিনি একই এলাকার মফিজুল আলমের তৃতীয় সন্তান।
ভুক্তভোগী আবুল মনছুর আনিস জানান, আওরঙ্গজেব মাতবর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিগত ২৬ বছর ধরে তার পরিবার নিয়ে বসবাসরত ভিটে জমি ক্ষমতা খাটিয়ে দখলে নিতে নানা রকম পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল।
জানা যায়, দীর্ঘ ২ বছরের প্রচেষ্টায় আইনগত-ভাবে ব্যর্থ হয়ে ঘটনার দিন গত ১৭ তারিখ সকাল সাড়ে ৯ টায় স্ব-শরীরে ঐ জমিতে যায়। এসময় জমি দখল করতে গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশির কাছ থেকে অভিযুক্ত আওরঙ্গজেব বাঁধাগ্রস্থ হয় এবং এলাকার লোকজন তাকে লাঞ্ছিত করে। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফোনে তার দলবল ডেকে এনে ভুক্তভোগী আনিসকে বাসা থেকে বের করে ধারালো দা, চাপাতি ও রড দিয়ে হামলা করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার খবর পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ে অভিযুক্ত উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওই জমি আমার ক্রয় করা। তাদের কাছে কোন কাগজ নেই। আনিস ছেলেটাকে বৈঠকে বসতে ইতিমধ্যে কয়েকদফা অনুরোধ করলেও সে বৈঠকে বসে না। বৈঠকে না বসে ওই জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করায় বাঁধাদিলে তাঁরা আমার উপর আক্রমনাত্মক হয়ে উঠলে আমিও তাঁর উপর হামলা করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুতুবদিয়া থানার ওসি মোঃ গোলাম কবির জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ ইতোমধ্যে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। সেখানে অনেকের নাম আছে। তাই হামলায় অংশগ্রহণ-কারী প্রকৃত দোষীদের যাচাই করতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হয়ে গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভুক্তভোগী আনিস অভিযোগ করে আরও জানান, গত বছরের নভেম্বরের ২২ তারিখ ঠিক একই রকম ভাবে তারা হামলা করে। এতে ভুক্তভোগীর পিতা, মাতা ও ছোট ভাই আহত হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিস-পত্র ভাঙচুর করে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
ভুক্তভোগী আনিস এসব কিছুর সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় অভিযুক্ত সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আকুল আবেদন জানান।
এ-ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে আহতের পরিবার।