উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কার্যক্রম এখনো শুরু না হলেও মহেশখালীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ শরীফ বাদশা অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি শামসুল আলমকে নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে নির্বাচনে প্রচারণা শুরু করেছেন। সম্প্রতি র্যা ব- ১৫ হোয়ানক ইউনিয়নের করুনতলী এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহ ২ জনকে গ্রেফতার করে। তৎমধ্যেন শরীফ বাদশার এক ভাইও রয়েছে। এ সময় র্যা বের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দায়েরকৃত অস্ত্র মামলার ৩ নং নম্বর আসামী শামসুল আলম। আচরণবিধি লংঘন করে একজন পলাতক অস্ত্র মামলার আসামী নিয়ে গনসংযোগ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
বড় মহেশখালীর বাসিন্দা রবিউল আলম বলেন, সন্ত্রাসী ও অস্ত্র মামলার আসামী নিয়ে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শরীফ বাদশা গণসংযোগ ও মহড়া দেওয়ায় আমরা সাধারণ ভোটাররা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন হোক। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে নির্বাচনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।
অভিযোগে প্রকাশ, শামসুল আলম স্থানীয়ভাবে একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। সন্ত্রাসীদের কাছে প্রতিনিয়ত অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে তার নেতৃত্বে। গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাচনের জন্য সন্ত্রাসীদের ব্যেবহারের জন্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্র নিয়ে আসার গোপন সংবাদ পায় র্যা ব-১৫। ওই সূত্রে হোয়ানকের কেরুনতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ একজনকে গ্রেপ্তার ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে অস্ত্রের মূল মালিক শামসুল আলম পালিয়ে যায়। সে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার মৃত কাসিম আলীর পুত্র। তাকে উক্ত মামলার ৩ নং নম্বর আসামি করা হয়। যার নম্বর ৬৬/২০২৪ ইং।
মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তি জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।