মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ২৪ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
শুক্রবার বিকালে টেকনাফের ঝিমংখালীর সীমান্ত দিয়ে ৩ জন ও নাইক্ষ্যংছড়ির হাতিমারাঝিরি সীমান্ত দিয়ে ৮ জন নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে শুক্রবার ভোরে টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিপির আরও ১৩ জন সদস্য এসে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
এনিয়ে শুক্রবার আসা ২৪ জন সহ মোট ২৮৫ জন বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) অধিনে আশ্রয়রত রয়েছেন।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধিনে থাকা ২৮৫ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও সেনা সদস্যও রয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এই ৪৬ জন পালিয়ে আছে। মঙ্গলবার দিনে প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আর ১৪ জন সদস্য।
তারও আগে থেকে ওখানে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।