অল্পের জন্যে প্রাণ রক্ষা পেল নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার জারুলিয়াছড়ি গ্রামের হামিদুল্লাহ। তাকে দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয় স্থানীয় এক ব্যক্তি। এ সময় হামিদুল হকের ৬ বছর বয়সী আনোয়ার হোসেনও হামলার শিকার হয়। এসব অভিযোগ হামলায় আহত হামিদুল্লাহসহ এলাকাবাসির। তার বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জারুলিয়াছড়ি গ্রামে।
তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রতিদিনকার ন্যায় বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি কেনা-কাটা করতে যান স্থানীয় ইমাম হোসেনের দোকানে। হামিদ ও তার ছেলে বসে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে মোহাম্মদ জামাল (৪০) তার স্ত্রী ও মেয়ে যথাক্রমে রৌশন আক্তার, বাবুনি ও মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোহাম্মদ আমিন ও আব্দু সালাম এসে হত্যার উদ্দেশ্য গালিগালাজ করতে করতে দা দিয়ে হামিদুল্লাহকে কোপাতে চেষ্টা করে। তখন প্রাণ রক্ষার্থে পিতা-পুত্র পালিয়ে যেতে চাইলেও ইমাম হোসেন (৩৫) তাদের পথ আটকে তাকে চেপে ধরে । এ সুযোগে দা এর কোপে হামিদুল্লাহর মাথার খুলি ফাটিয়ে দেয় আর বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল কেটে মারাত্মকভাবে জখম করে চক্রটি । সাথে থাকা তার ছেলেকেও তারা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তার পিঠের মেরুদণ্ডে জখম হয়।
এ অবস্থায় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পিতা-পুত্রকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা গুরুতর দেখে উভয়কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে । বর্তমানে তারা সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হামিদল হক জানান, ঘটনার পরপর তিনি বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় গিয়ে এস আই তৌফিক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনকে অবহিত করেছেন। এ ঘটনার পর এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, তিনি বিষয় নিয়ে এখন অবগত নন। ক্ষতিগ্রস্তরা আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এসব বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।