অন্তিক চক্রবর্তী :
সড়ক দূর্ঘটনায় চুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বাসে আগুন দেওয়া,লাইনম্যান এবং পরিবহনশ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, মুক্তিসহ চার দাবিতে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে প্রায় ১২ ঘন্টা এ কর্মসূচি পালন করা হলেও বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠকের পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
ধর্মঘটের কারনে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে অধিকাংশ গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় ভোগান্তিতে পড়েন কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক ও সাধারণ জনগণ।
কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকাগামী যাত্রীরা পড়েন চরম বিপাকে। কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কলাতলী ডলফিন মোড়,লিংক রোড সহ বাস কাউন্টার গুলো থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি কোন দূরপাল্লার বাস৷ এই তীব্র তাপদাহে যাত্রীরা বাস কাউন্টারে এসে ভিড় করলেও পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সময়মতো নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারেননি৷
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কর্মজীবি রাসেল চৌধুরী বলেন, শুক্রবার ও শনিবারের ছুটিতে বেড়াতে এসে আজ ফিরবার কথা থাকলেও ফিরতে পারছি না৷ হোটেল ছেড়ে দিয়ে বাস কাউন্টারে এসে দেখি কোন বাস নেই।
ষাটোর্ধ আবদুল হাকিম বলেন, আজ মেডিকেল চেকআপের জন্য চট্টগ্রামে ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়েছিলাম। রামু বাইপাস এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি না পেয়ে বাস টার্মিনাল এসে জানতে পারি আজ ধর্মঘট। আগে থেকে জানলে এই গরমে কষ্ট পেতে হতো না।
এই নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান মালিক-শ্রমিক যৌথ কমিটির আহ্বায়ক খোরশেদ আলম বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃত মালিক-শ্রমিকদের মুক্তি, সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা সহ চুয়েটে পুড়িয়ে দেওয়া তিনটি বাসের ক্ষতিপূরণের দাবিতে আমরা এই ধর্মঘট পালন করছি৷ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।