মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে এবার বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আরও ২ সদস্য। সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
কক্সবাজারের বিজিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গত ২ দিনে টেকনাফ ও বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে মোট ১৬ জন পালিয়ে এসেছে আশ্রয় নিয়েছে। এই ১৬ জন সকলকেই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত রয়েছে। এনিয়ে মোট ১৯৬ জন ওখানে রয়েছেন। যার মধ্যে ৫ জন সেনা সদস্য এবং অপর ১৯১ জন বিজিপি সদস্য। এদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। আগামি সপ্তাহে এদের ফেরত পাঠানো হতে পারে।
এর আগে রবিবার দিনগত রাত (১৪এপ্রিল) আনুমানিক সাড়েগ ১১টার দিকে হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালি সীমান্ত অতিক্রম করে বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, দুই দিনে মোট ১৪ জন এসেছেন। এর আগে রবিবার সকালে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি দিয়ে ৩ জন ও ঝিমংখালি সীমান্ত দিয়ে ৬ জন প্রবেশ করেছে।
দুই দিনে ১৬ জন ছাড়া অপর ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।