মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। নৌকা প্রতীকের নবনির্বাচিত মেয়র, কক্সবাজার পৌরসভা। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম বৃথা যায়নি। একটা ভোট ভিক্ষা দিন, সেবক নয়, খাদেম হতে চাই আপনাদের। এ-ই একটি কথাই কি যথেষ্ট ? না! তিনি, তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। যাঁর জীবনবৃত্তান্তে নেই অন্যায় অনিয়মের গন্ধ। তিনি সাধারণ একজন কর্মী থেকে হয়েছেন যুবনেতা, জনপ্রতিনিধি থেকে আজকের পৌরপিতা। তাঁর লক্ষ্য সঠিক ছিল বলেই তিনি আজকের পৌরপিতা। যে যা-ই বলুন না কেন, কাঁদা ছুড়াছুঁড়ি আমাদের সমাজে একটি নিয়মিত সাবজেক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ-ই অসুস্থ মানসিকতা থেকে সকলকেই বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ, যাঁরা পেছনে লেগে থাকে - তাঁরা পেছনেই পড়ে থাকে। মাহবুবুর রহমান একজনই তাঁর সামান্য উদাহরণ। তিনি আজকের পৌর মেয়র হয়েছেন। ৯৫ হাজার ভোটারের বাইরেও পৌরসভায় বসবাসকারী ৫ লাখেরও (সম্ভাব্য) বেশি জনসংখ্যার অভিভাবক তিনি। তাঁর এ-ই গন্তব্যে পৌঁছার ক্ষেত্রে তাঁর একার পরিশ্রমে বললে ভুল হবে। কারণ, যে-কোন মানুষের সফলতার পেছনে লুকিয়ে থাকে সমাজের কিছু ব্যাক্তির সহযোগিতা। আমি মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে অভিনন্দন বার্তায় পাঠিয়েছি দীর্ঘজীবি হোন, আপনার জন্য'ই অপেক্ষা করছিল শহরবাসী। তাঁরা পেয়েছেন আপনার মতোন একজন যোগ্য মানুষ।
এবার আসা যাক নজিবুল ইসলামের কথায়। তাঁকে নিয়ে ফিরিস্তি লেখে লম্বা করতে করতে চাইনা। তাঁকে চিনে না, জানে না মানুষ কম'ই আছে। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত তিনি দলীয় প্রার্থী'র পক্ষে নিজের সবকিছু বিসর্জন দেন। কোন শর্ত ছাড়াই দিনরাত খাটেন একজন প্রার্থী'র পক্ষে। একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে বলতে শুনেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে দলীয় প্রতীক দিবেন তিনিই তাঁর প্রার্থী। এক্ষেত্রে তিনি দল থেকেও কিছু প্রত্যাশা করেন না। দলের ডিসিপ্লিন'ই যেন তাঁর কাছে সবকিছুর উর্ধে। অবিরত, নীরবে কাজ করে যাওয়া মানুষটির আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন আমার প্রিয় কর্মস্থল দৈনিক কক্সবাজার পরিবারের অন্যতম অবিভাবক, নেতা-কর্মীদের আস্থার বাতিঘর কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম। শুরু থেকে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে নানা গুঞ্জন চলে আসছিলো। আর তিনিই অপেক্ষা করছিলেন নৌকা প্রতীক কে পাচ্ছেন? দল থেকে মনোনয়ন পেলেন মাহবুবুর রহমান। সেই তফসিল ঘোষণার পর থেকে নৌকার পক্ষে কোমর বেঁধে নামেন মাঠে। প্রার্থী'র পক্ষে নয়, মনে হয়েছে তিনিই প্রার্থী। কঠিন পরিস্থিতিও তিনি মুচকি হেসে নিয়েছেন সহজভাবে। দলের প্রতি অনুগত্য রেখে তিনি দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। অনেকে ভুল করে বলেছেন, তিনি মনে হয় নৌকা প্রতীকের মাবু। অর্থাৎ, তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল সবখানে। দলের প্রতি এত ভালোবাসা কোন ব্যাক্তির আছে কি-না আমার বোধগম্য নয়। (একান্তই আমার নিজের দেখা ও জানার অভিজ্ঞতার প্রয়াস)। আমি জানি কক্সবাজারে অনেক রাজনৈতিক নীতি-নির্ধারক আছেন। এমন'ও দেখেছি, পদকে আগলে রাখতে, পদের দায়িত্বে থাকতে হলে কিছু হয়তো দেখাতে হবে, তাঁরা তা-ই দেখিয়েছেন। কিন্তু নজিবুল ইসলামের ক্ষেত্রে ভিন্ন। আমি দেখেছি, এই পৌরসভা নির্বাচনে মাবু'র জয়ের পেছনে যদি কারোই অবদান যদি থাকেন, তিনি একজন নজিবুল ইসলাম।
নব-নির্বাচিত মেয়রকে তিনি আজীবনের জন্য ঋণী করে দিলেন। নিজের অবস্থান থেকে ফ্রী সার্ভিস দিতে তাকেই দেখলাম। দলে এমন কর্মী প্রয়োজন! আওয়ামী লীগের মত বড় একটি দলে এত নেতাকর্মী প্রয়োজন নেই। ওনার মত একজন কর্মী'ই যথেষ্ট। নতুন মেয়রের জন্য শুভ কামনা সবসময়।
লেখক : নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক কক্সবাজার।