চকরিয়ার খুটাখালীতে ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

চকরিয়ার খুটাখালীতে ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
চকরিয়ার খুটাখালী হরিখোলা নামক এলাকায় প্রকাশ্যে ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। ফলে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অসহায় মানুষের ফসলি জমি, গাছ বাগান ও বসতবাড়ি। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে চলমান বর্ষায় মৌসুমে এসব মানুষের বসতভিটা, ফসলি জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে বালু উত্তোলন বন্ধে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ রফিক নামে এক ভুক্তভোগী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত দুই মাস ধরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হরিখোলা এলাকার প্রবাহিত নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় জয় নগর পাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে জালাল আহমদ, জালাল আহমদের ছেলে আব্দুর রশিদ, আবদু শুক্কুর। একই এলাকার আবদুল আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান, হরিখোলা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে নুরুল আবছার, মোস্তাক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফোরকান ও মোহাম্মদ আরকানের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু উত্তোলনে বাধা দিলে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তারা। অন্যদিকে প্রশাসন আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ রফিক বলেন, তার দীর্ঘ ৩০ বছরের ৮০ শতক বসতভিটা থেকে বালু উত্তোলন করছে চক্রটি। নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তার বসতভিটা ফসলি জমি ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বাগান। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। বিগত এক মাস ধরে দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতদিন বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে স্থানীয় একটি শক্তিশালী চক্র। বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বললে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। নিয়মিত বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।  খুটাখালীতে বসতভিটা থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.