মাতামুহুরিতে নিখোঁজের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা

মাতামুহুরিতে নিখোঁজের লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মাতামুহুরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ যুবক শফি আলমের (২৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের সময় নিহতের চোয়ালে রশি পেছানো এবং শরীরের জখমের দাগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে পরিবারের দাবি পুলিশি ধাওয়ায় নয় স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও চৌকিদারের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে শফি আলমকে হত্যা করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ আগষ্ট) সকালে মাতামুহরী নদীর কন্যারকুম এলাকা থেকে নিখোঁজ শফি আলমের লাশ উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টা থেকে শফি আলম নিখোঁজ হয়।
নিহত শফি আলম চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডর শীতারখিল এলাকার মৃত আব্দু খালেকের ছেলে। তিনি বিগত ইউপি নির্বাচণে সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
নিহত যুবক শফি আলমের ভাই পুতু আলম বলেন, আমার ভাই ব্যবসা করে চলে। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি সদস্য প্রার্থী ছিলেন।  ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হকের নেতৃত্বে পরিকল্পিকতভাবে ভাইকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়। তাকে হত্যার পর এনামুল হক জুয়া খেলার কথা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছে। মুলত মেম্বার এনামুল হক ও চৌকিদার কামাল মিলে গলায় রশি দিয়ে ও মারধর করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সকালের দিকে তার লাশ মাতামুহুরী নদীতে ফেলে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার এনামুল হক বলেন, শফি আলম খুব ভালো ছেলে। এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার একটা বদভ্যাস আছে সে নিয়মিত জুয়া খেলে। স্থানীয় এলাকাবাসি অভিযোগ করায় পুলিশের মাধ্যমে তাদের জুয়া খেলা বন্ধ করার চেষ্ট করেছি।
তিনি আরও বলেন, শফি আলমের পরিবারের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে শফি আলমের পরিবারকে দিয়ে এসব বলাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সেপেক্টর) মো. মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় মেম্বার এনামুল হকের কাছ থেকে খবর পাই মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী শীতারখিল এলাকায় ৭-৮জন যুবক জুয়া খেলছে। পরে শুক্রবার রাতে পুলিশের টিম ওই এলাকায় গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন যুবক পালিয়ে যায় এবং তিনজন যুবক নদীতে ঝাপ দেয়। ওই তিনজন থেকে দুই যুবক সাঁতরিয়ে উঠতে পারলেও শফি আলম নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যায়।  
তিনি আরও বলেন, রবিবার সকালে স্থানীয় লোকজন থেকে খবর পেয়ে মাতামুহুরীর নদীর কন্যার কুম থেকে নিখোঁজ শফি আলমের লাশ উদ্ধার করি। ওইসময় লাশের গলায় একটা রশি পেছানো ছিলো।
এব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন,  ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

উপজেলা সংবাদ

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.