কক্সবাজার জেলায় চা চাষে আগ্রহী ব্যক্তিদের চা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ঝিলংজা হর্টিকালচার সেন্টারে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত দিন ব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ এখলাম উদ্দীন, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মোঃ সামসুল আলম। এছাড়া ও রামু ও চকরিয়া থেকে আসা বিভিন্ন লোকজন কর্শশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি ও কর্মশালায় অংশ লোকজন কক্সবাচারে চা চাষে অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মতবিনিময়কালে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে। যার মোট আয়তন ২৭৯৪৩৯.৬৩ একর এবং চাষাধীন জমি রয়েছে ১৫৪৫১৫.৭৯ একর। এছাড়াও ক্ষুদ্রায়ন চা চাষাদিন জমির পরিমাণ ৮০৫৭ একর।
দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থৈতিক উন্নয়ন ও ভোক্তার রুচির পরিবর্তনের পরিবর্তনের ফলে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
আমাদের চিরাচরিত বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের চা বাগান অনুপাতে যে চায়ের যে চায়ের আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার হলেও আগামী তিন দশকের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। অথচ আমাদের লক্ষ্য দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ঐতিহ্যবাহী রপ্তানীমূখী চা শিল্পর উৎপাদনের কিয়দংশ বিদেশে রপ্তানি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা। তাই আমাদের আশু প্রয়োজন জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে চা আবাদী এলাকা স¤প্রসারণ করা।
সে লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের সমভূমি এলাকায় সরকার চা চাষের উদ্যোগ করে; যেখানে ইতিমধ্যে চা চাষীগণ ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। অনুরুপভাবে দেশের দক্ষিন পূর্ব অঞ্চল বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবান চা চাষের অপার সম্ভাবনা অনুমেয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার জেলায় ক্ষুদাতায়ন চা চাষ স¤প্রাসরণকল্পে বাংলাদেশ চা বোর্ড ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার সদর, রামু, ও চকরিয়ায় ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ স¤প্রাসরণের বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে সম্ভাব্যতা যাচাই কর্ হয়েছিল। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি অনুযায়ী বর্ণিত এলাকায় ক্ষুদ্র পযায়ে চা চাষ করতে আগ্রহী চাষী আছেন এবং কক্সবাজার সদর, রামু ও চকরিয়ায় উপজেলায় ভুমিরূপ ও আবাজাওয়া চা চাষের জন্য উপযোগী বলে প্রতীয়মান হয়েছে।