বাঁকখালী নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও কবরস্থান। ভাঙতে ভাঙতে নদী এখন মসজিদের খুব কাছে চলে এসেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে মসজিদ যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার (১৪ মে) সকালে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারি প্রকৌশলি খন্দকার আলী রেজা। এসময় তিনি বলেন- ভাঙন রোধ করে মসজিদটি রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে তাগাদা পাঠাবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান বলেন- নদীর ভাঙন মসজিদ থেকে অনেক দূরেই ছিল। কয়েক বছর ধরে ভাঙতে ভাঙতে একদম মসজিদের কাছে চলে আসে। একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, চলাচলের রাস্তা ও কয়েকটি কবর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গর্জনিয়ার পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন- দীর্ঘদিন ধরে গর্জনিয়ার মাঝিরকাটা, পূর্ববোমাংখিল হয়ে ক্যাজরবিল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন চলছে। ভাঙনে বসতভিটা ও শত শত একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। মাঝেমধ্যে কয়েকটি স্থানে ভাঙনের সময় কিছু স্পার করা হয়েছে। কিন্তু স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন- গেল বছর গর্জনিয়ার ক্যাজরবিল জামে মসজিদ ও কবরস্থান বাঁকখালী নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: রাশেদুল ইসলাম ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি পাউবোকে বিষয়টি অবগত করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে মসজিদ, কবরস্থান ও গ্রাম রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।