কুতুবদিয়ায় ফেসবুকে এক শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কুতুবদিয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) উপজেলা গেইটে ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিনে ধুরুং হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা কুতুবদিয়া হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শেষে গাড়ি যোগে উপজেলা গেইটে পৌছিলে শতাধিক শিক্ষার্থী জীপ গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় ইটের আঘাতে পরীক্ষার্থী রিফা আক্তার (১৬)সহ অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পুলিশ, নৌবাহিনী প্রশাসন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আহত রিফার আঘাত বেশি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন জরুরি বিভাগের ডা: গোলাম মারুফ। বাকিদের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এই ঘটনার জের ধরে ধুরুং হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল আলম বলেন, কুতুবদিয়া কেন্দ্রে অহেতুক কড়াকড়ি করার ক্ষোভে রাফি নামের এক পরীক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট দেয়। পরে উক্ত ছাত্র বাবাসহ থানায় গিয়ে পোস্ট ডিলেটসহ ক্ষমা চেয়ে কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্যাডে আরেকটি পোস্ট দেয়া সত্বেও পরদিন ন্যাক্কারজনক হামলা করে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মো: জহিরুল ইসলাম বলেন, রাফি নামের পরীক্ষার্থী তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। বিষয়টি তারা আন্দাজ করতে পেরে পুলিশের নির্দেশে ওই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শেষে সেফজোনে রেখে পরে তাকে পুলিশের মাধ্যমে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাইরে গাড়িতে হামলার বিষয়ে তারা পরে জানতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার ক্যথোয়াই মারমা বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিষয়টি সোমবার ওসির মাধ্যমে এক প্রকার মীমংসা হয়েছিল। ফের মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এধরণের হামলা দু:খজনক। আহত পরীক্ষার্থীকে চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং উভয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, প্রশাসনসহ বসে বিষয়টি নিরসন করবেন বলেও জানান তিনি।