ইদানিং জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুর্থান দমনের অপচেষ্টায় স্বৈরাচারের সহযোগী, চামচা,অনুগত ও দোসরদের বেপরোয়া মরণাস্ত্র ব্যবহারে গুরুতর আহত ও শহীদদের র্নিভুল তালিকা প্রস্তুত করে তাদের সুচিকিৎসা,ভরণপোষন ও অজীবন সম্মাননা প্রদানের উদ্দেশ্যে গেজেট বিজ্ঞপ্তির আকারে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার ব্যাপারে কারও দ্বিমত নাই। তবে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সকল রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী নেতারা একমত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি কি রকম ছিল তা দেখা যাক।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদে ১৯৭২ সালের ৪ নবেম্বর তারিখে গৃহীত হয় এবং একই বৎসরের ১৬ ডিসেম্বর বলবৎ হয়। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল স্বাধীনতা ঘোষণার সাথে সাথে বাংলাদেশে পাকিস্তানী আইন ও পাকিস্তানী শাসনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়। তখন থেকে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ইং তারিখ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রমূলে সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত কোন আইনে কিভাবে বাংলাদেশ পরিচালিত হয়েছে? অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল থেকে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন বৈধ সরকার ছিল না বা একটি আইনী শূণ্যতা ছিল। এর পর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুযায়ী বৈধভাবে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালিত হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি কি ? ঘোষণাপ্রত্রটি কে বা কারা, কোথায়, কোন ক্ষমতাবলে প্রণয়ন ও ঘোষণা করেছিলেন? বাংলাদেশের জন্মের বৈধতা দিয়েছে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশের বার্থ সার্টিফিকেট। সে ঘোষণাপত্র অনুয়ায়ীই প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে প্রবাসী সরকার গঠন করা হয় এবং ঐ সরকারের অধীনেই ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসী সরকারের পক্ষে কুটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন এর ভিত্তিমূল, বৈধতা ও ক্ষমতার উৎস। ঘোষণাপত্রটির বাংলা অনুবাদ নিম্নরূপ ঃ
”স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। মুজিবনগর, বাংলাদেশ। ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১
যেহেতু একটি সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য ১৯৭০ সানের ৭ ডিসেম্বর হইতে ১৯৭১ সানের ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত বাংলাদেশে (তখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল) অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ১৬৯ জন প্রতিনিধির মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭ জনকে নির্বাচিত করেন, এবং যেহেতু সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে জেনারেল ইয়াহিয়া খান জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণকে ১৯৭১ সনের ৩ মার্চ তারিখ মিলিত হইবার জন্য আহ্বান করেন, এবং যেহেতু এই আহুত পরিষদ-সভা স্বেচ্ছাচারী ও বেআইনীভাবে অনিদিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়, এবং যেহেতু পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ তাহাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার পরিবর্তে এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণের সহিত আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় একটি অন্যায় ও বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করে, এবং যেহেতু এইরূপ বিশ্বাসঘাতকামূলক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসম্বাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ তারিখে ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের মর্যাদা ও অখন্ডতা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান, এবং যেহেতু একটি বর্বর ও নৃশংসযুদ্ধ পরিচালনায় পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ, অন্যান্যর মধ্যে, বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের উপর নজীরবিহীন নির্যাতন ও গণহত্যার অসংখ্য অপরাধ সংঘটন করিয়াছে এবং এখনও অনবরত করিয়া চলিতেছে, এবং যেহেতু পাকিস্তান সরকার একটি অন্যায় যুদ্ধ চাপাইয়া দিয়া, গণহত্যা করিয়া এবং অন্যান্য দমনমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণের পক্ষে একত্রিত হইয়া একটি সংবিধান প্রণয়ন এবং নিজেদের জন্য একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব করিয়া তুলিয়াছে, এবং যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাহাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী উদ্দীপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূখন্ডের উপর তাহাদের কার্যকর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করিয়াছে, সেহেতু আমরা বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী জনগণ কর্তৃক আমাদিগকে কর্তৃত্বের মর্যাদা রক্ষার্থে নিজেদের সমন্বয়ে যথাযথভাবে একটি গণপরিষদরূপে গঠন করিলাম, এবং পারস্পরিক আলোচনা করিয়া এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করণার্থে, সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করিলাম এবং তদ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃৃক ঘোষিত স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করিলাম, এবং এতদদ্বারা ঘোষণা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছি যে, সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি থাকিবেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, এবং রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্রের সকল সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হইবে, ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ প্রজাতন্ত্রের সকল নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন, একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য মন্ত্রী নিয়োগ ক্ষমতার অধিকারী হইবেন, কর আরোপন ও অর্থ ব্যয়ন ক্ষমতার অধিকারী হইবেন, গণপরিষদ আহ্বান ও মূলতবীকরণ ক্ষমতার অধিকারী হইবেন, এবং বাংলাদেশের জনগণকে একটি নিয়মতান্ত্রিক ও ন্যায়ানুগ সরকার প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সকল কার্য করিতে পারিবেন,
আমরা বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ আরও সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছি যে, কোন কারণে রাষ্ট্রপতি না থাকা বা রাষ্ট্রপতি তাহার কার্যভার গ্রহন করিতে অসমর্থ হওয়া বা তাহার ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে অসমর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে, রাষ্ট্রপতির উপর এতদ্বারা অর্পিত সমুদয় ক্ষমতা, কর্তব্য ও দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপতির থাকিবে এবং তিনি উহা প্রয়োগ ও পালন করিবেন। আমরা আরো সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছি যে, জাতিমন্ডলীর সদস্য হিসাবে আমাদের উপর যে দায় ও দায়িত্ব বর্তাইবে উহা পালন ও বাস্তবায়ন করার এবং জাতিসংঘের সনদ মানিয়া চলার প্রতিশ্রæতি আমরা দিতেছি। আমরা আরো সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছি যে, স্বাধীনতার এই ঘোষণাপত্র ১৯৭১ সনের ২৬ শে মার্চ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। আমরা আরো সিদ্ধান্ত গ্রহন করিতেছি যে, এই দলিল কার্যকর করার লক্ষ্যে এবং রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতির শপথ পরিচালনার জন্য আমরা অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে আমাদের যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নিয়োগ করিলাম। অধ্যাপক ইউসুফ আলী, বাংলাদেশের গণপরিষদের ক্ষমতাবলে ও তদধীনে যথাযথভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ”।
১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ ইং তারিখে মুজিবনগরে ঘোষিত ও জারীকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি ২৩শে মে, ১৯৭২ ইং তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশে হাজার হাজার মাইক দিয়ে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বলে যে ঘোষণা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন তা রেডিওতেও প্রচারিত হয়েছিল। ২৬ মার্চ পাকিস্তানী সেনা বাহিনী ও গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে কি সে ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কোন সুযোগ বা পরিবেশ ছিল ? ২৬ তারিখ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ইংরেজী ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিশ্বাসঘাতক, এবার সে দন্ডিত না হয়ে যাবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন। পাকিস্তান রেডিও থেকে বার বার সে ভাষণ প্রচার করা হয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা না করলে কেন তাকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বেতার ভাষণে বিশ্বাসঘাতক বলবেন ? তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ জাতীয় পরিষদের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বৈধতা পাবে, বিশ্ববাসীর সমর্থন ও স্বীকৃতি পাবেন। তাই ইয়াহিয়া খান তার জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে শুধু বঙ্গবন্ধুকেই বিশ্বাসঘাতক ঘোষণা করেছিলেন, কারণ তিনি অখন্ড পাকিস্তানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হিসাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা-রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপবিবারে নির্মমভাবে খুন করার পর ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসকরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনাসহ মৌলিক পরিবর্তন এনে সামরিক ফরমানমূলে অনেক সংশোধনী এনেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি বাতিল করা হয়নি বা কোনভাবে সংশোধন করা হয়নি। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাতিল করা হলে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পাকিস্তানপন্থীরা আবার পূর্ব পাকিস্তান দাবী করার সুযোগ পাবে না? মুক্তিযোদ্ধাদের বীর উত্তম, বীর বিক্রম,বীর প্রতীক ইত্যাদি খেতাব দেওয়া ক্যাপ্টেন, মেজর সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার, মেজর জেনারেল হিসাবে প্রমোশন, বেতনভাতা ইত্যাদি দিয়েছেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রমুলে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি হল স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের বৈধ দলিল বা বার্থ সার্টিফিকেট।
১৯৭১ সালের গৌরবউজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইহিহাসকে নিলজ্জভাবে ও অপরাধজনকভাবে দলীয়করণ ও পরিবারকরণ করে বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের লাগাতার হামলা-মামলা, জেলজুলুম, হত্যা-গুম ও আয়নাঘরের ভয়ভীতির সংস্কৃতি তৈরী করে ভোটারবিহীন নির্বাচন, ভুয়া নির্বাচন,পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে চালানো স্বৈরশাসনের মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি করে দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার জঘন্য ও নজিরবিহীন অপরাধ করা হয়েছে। কোন অজুহাতেই বিচার বিলম্বিত না করে দ্রুত বিচার করে স্বৈরশাসক, খুনী, দুর্নীতিবাজ, সহযোগী ও দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ অবিলম্বে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত আবশ্যক। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে, সংবিধানকে কবর দেওয়ার ঘোষণা অপ্রত্যাশিত ও আত্মঘাতী। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের নামে সমাজে সাধারণ মানুষের আন্তরিক অপছন্দ ও ঘৃণার পাত্র সন্ত্রাসী, মাস্তান, মাদকাসক্ত, দুর্নীতিবাজ ও চোরাকারবারীরা রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন, সমর্থন ও সহায়তা নিয়ে স্থানীয় সরকারের জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আবার জনগণের মাথার ওপর বসুক তা আমজনতা মোটেই কামনা করেন না। যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ,অবাধ ও দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকার জনগণ প্রত্যাশা করেন। নির্বাচিত সংসদের নামে কোটিপতিদের আর একটি ক্লাব চায় না সদাপ্রতারিত দেশবাসী।