উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফাঁদে দিশেহারা বিশ্ব অর্থনীতি। এর মধ্যেই খবর এলো দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চালের ঘাটতিতে পড়বে বিশ্ব। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা ফিচ সলিউশনের মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী চালের বৈশ্বিক ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন। যা উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভোগা দেশগুলোকে আরও বেশি বিপদে ফেলবে।
চীন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন- বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলেই চালের উৎপাদন কমেছে। আর বেড়েছে দাম। এর ভুক্তভোগী বিশ্বের সাড়ে ৩শো কোটি মানুষ যাদের বেশিরভাগই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে কারণ এখানে প্রায় ৯০ শতাংশেরই প্রধান খাদ্য ভাত।
আন্তর্জাতিক বাজার ও অর্থনীতি গবেষণা সংস্থা ফিচ সলিউশনের বলছে, ২০২৩ সালে দুই দশকের মধ্যে বিশ্ব চালের সবচেয়ে বড় ঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাষ করা শস্যটির ঘাটতি আমদানিকারক দেশগুলোকে বড় সংকটে ফেলবে বলছে সংস্থাটি।
২০২৩ সালে প্রতি মণ চালের গড় দাম সাড়ে ১৭ ডলার। ফিচ-এর পূর্বাভাস বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী চালের বৈশ্বিক ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ৮৭ লক্ষ যা ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরের পর সর্বোচ্চ। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে সরবরাহ ঘাটতি, সেই সাথে চীন ও পাকিস্তানের মতো বড় উৎপাদক দেশগুলোতে বৈরি আবহাওয়া চালের উৎপাদন কমার বড় কারণ বলছে সংশ্লিষ্টরা।
এই ঘাটতি এবার ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এবং আফ্রিকার চাল আমদানিকারক দেশগুলোর খাদ্য আমদানির খরচ বাড়াবে বলছে রাবোব্যাংক। বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি খাতে সুপরিচিত এই সংস্থাটি বলছে অনেক দেশে অভ্যন্তরীণ মজুদও কমবে। আর পাকিস্তান, তুরস্ক, সিরিয়া এবং আফ্রিকান কয়েকটি দেশ যেখানে ইতিমধ্যেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি সেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।