দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে এমন উসকানিমূলক ছয় ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেসবুক, ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) কে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এমন উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
এর আগে গত রোববার (২৮ আগস্ট) উসকানিমূলক ও জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে এমন ভুয়া সংবাদ এবং ভিডিও সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করা হয়। রিটে উসকানিমূলক ভিডিও চিহ্নিত করতে মনিটরিং বোর্ড গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান আইনজীবী নিলুফার আনজুম এবং জজ কোর্টের ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
গত ২১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও জজ কোর্টের ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। পরে এ বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়।
ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসিবিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
নোটিশে বলা হয়েছিল, ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন।