কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটকের কদর

কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটকের কদর
কক্সবাজারে পর্যটকদের কদর বিগত যেকোন সময়ের চাইতে বেড়েছে। বিগত সময়ে গলাকাটা বাণিজ্য, হোটেল কক্ষের ভাড়া বৃদ্ধি ও সিএনজি, টমটম কিংবা রিক্সা চালক কর্তৃক হয়রানি নেই বললেই চলে। পর্যটক আশানুরূপ না আসায় পর্যটক সংশ্লিষ্টরা অনেকটা সতর্ক হয়েছেন বলে মনে করছেন বিভিন্ন পেশার লোকজন।

কক্সবাজারে আশানুরূপ পর্যটক না আসায় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা অধিকতর সতর্ক হয়েছেন। বেড়েছে আগত পর্যটকদের সেবার মান। প্রতি বছর দুই ঈদের পরে পর্যটকে ভরপুর থাকে কক্সবাজার। এই ঈদে আশানুরূপ পর্যটক আসেনি কক্সবাজারে।
বিজ্ঞজনরা মনে করছেন পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কিছু পর্যটক দেশের দক্ষিণাঞ্চলেই ছুটি কাটানোর চলে যাওয়ায় কক্সবাজারে কিছু পর্যটক কমেছে।তবে ১৪ জুন থেকে অনেক পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন।
হোটেল সাইমন ব্লুপার্লের তত্বাবধায়ক সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন পর্যটক আসেনি তা নয়। এসেছে তবে বিগত সময়ে চাইতে কিছুটা কম। কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলের অধিকাংশ কক্ষ এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। অগ্রীম বুকিংও হচ্ছে। আমরা পূর্ব নির্ধারিত মূল্যের বাইরে বাড়তি কোন টাকা পর্যটক থেকে নিচ্ছি না। সেবার মান আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করেছি। আমাদের হোটেলে ঈদের পরদিন থেকে কোন রুমই খালি নেই। পর্যটকরা যেখানে ঘুরতে যেতে চায় আমরা তা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এই পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হোটেল ও মোটেল কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের ব্যাপারে অধিকতর সতর্ক হয়েছে। যাতে কোন প্রকার দুর্নাম না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি সার্বক্ষণ।

কক্সবাজার সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমর চন্দ্র দেব নাথ জানিয়েছেন, কক্সবাজারে বিকল্প কক্সবাজার। হয়তোবা কক্সবাজারে যেসব পর্যটক নিয়মিত আসেন তারা হয়তোবা সাময়িক অন্য স্থানে যেতে পারে। এরপর পুনরায় কক্সবাজারই আসতে হবে। কারণ কক্সবাজারের কোন বিকল্প নেই। কক্সবাজারই পর্যটকদের জন্য আকর্ষনীয় স্থান। এই পর্যন্ত পর্যটক হয়রানি কিংবা অপ্রীতিকর কোন ঘটনার কথা আমরা শুনিনি। এটি নিশ্চই কক্সবাজারের সুনাম বৃদ্ধি করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। বিগত সময়ে ব্যবসায়িদের গলাকাটা বাণিজ্য নিয়ে যা হয়েছে এতে কক্সবাজারের মর্যদাহানী হয়েছে।
বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, যথেষ্ট লোক এসেছে সমুদ্র সৈকতে। এতে বড় অংশ স্থানীয়। তবে বৃহষ্পতিবার থেকে বাইরের পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে। আমরা ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি। আগত পর্যটকদের পানিতে গিয়েও সতর্ক করা হচ্ছে।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, এই সময়ে যা পর্যটকের আগমন ঘটেছে এতেই আমরা সন্তুষ্ট। এছাড়া কোন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ি কোন অনৈতিক ব্যবসা করছে কিনা সমিতির পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। আমরা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে কোন দূর্নাম হোক তা চাই না। পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারকে আরো আকর্ষণীয় কিভাবে করা যায় তা নিয়ে কাজ করব।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মোঃ জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, প্রতিটি পর্যটন এলাকায় কাঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগত পর্যটকরা যাতেকোনভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। সৈকত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

পর্যটন

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.