ঈদের ছুটিতে এবার আশানুরুপ পর্যটক আসেনি

ঈদের ছুটিতে এবার আশানুরুপ পর্যটক আসেনি
এবারের ঈদ উৎসবে সৈকত নগরী কক্সবাজারে আশানুরূপ পর্যটকের আগমন হয়নি। ফলে এখনও খালি পড়ে আছে অনেক হোটেলের রুম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদে বন্যার প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়। কারণ, বন্যান কবলিত জেলাগুলোতে এই ছুটিতে তেমন কোন অতিথির দেখা মেলেনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের ছুটি শেষ হলেও, উৎসবের আমেজ এখনও সমান তালে চলছে। অথচ এই সময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক দিনের মতোই।
সৈকতে এখন পর্যটকদের যে ভিড়, তা আগের ঈদের তুলনায় বেশ কম। গরম উপেক্ষা করে অবশ্যক দলে দলে আগত পর্যটকেরা নেমে পড়ছেন সমুদ্র সৈকতে। যাদের মধ্যো স্বাস্থ্যবিধির  তেমন বালাই নেই।

আর, যারা সমুদ্রের কাছে বেড়াতে এসেছেন তারা সৈকতে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়িয়েছেন, আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন নিজেদের মতো করেই।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নেমে দেখা গেছে, পর্যটকে প্রায়  গিজগিজ অবস্থা। সৈকতের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় গোসলে ব্যস্ত কমপক্ষে ৩০ হাজার পর্যটক।
লাইফগার্ড কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে নিষেধ করছেন পর্যটকদের। বালুচরে লাল নিশানা তুলে দিয়ে এ বিষয়ে সতর্কও করা হচ্ছে। কিন্তু এদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই কারও।
এই তো গেলো ঈদেই পর্যটকরা রুম না পেয়ে রাস্তায় সময় কাটাতে দেখা গেলেও এবার হয়েছে উল্টো। গেস্ট না পেয়ে খালি পড়ে আছে হোটেলের অনেক রুম।
হোটেলগুলোর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটক টানতে হোটেল, গেস্ট হাউসগুলো সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কক্ষ ভাড়ায় বিশেষ ছাড় দিচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা, অর্থনৈতিক মন্দা, তীব্র গরম আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের ভাটা পড়েছে।
তবে পরিস্থিতি যাই হোক, পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছে ট্যু রিষ্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। সৈকতের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঈদের ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হচ্ছে। সৈকতে নামার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মাস্ক আছে কিনা চেক করছেন।
জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, সৈকতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, মাস্ক ব্যবহার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

পর্যটন

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.