কক্সবাজার জেলার উপক‚লীয় এলাকায় একাধীক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশ। তার মধ্যে মহেশখালী উপজেলার ‘মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর সংযোগ সড়ক’ অন্যতম।
জেলা প্রশাসন এর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে মাতারবাড়ী হয়ে চকরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ‘বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি এলাকার উপর দিয়ে এ সড়ক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নস্থ আরকান সড়কে গিয়ে সংযুক্ত হবে। অনেক আলোচনা সমালোচনা ও বাদ প্রতিবাদের মুখে মহেশখালী অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকদের জমির মূল্য সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রচলিত দরের সাথে সমন্ময় করে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সবছেয়ে বেশী ক্ষতির সম্মুখিন ‘বদরখালী সমবায় সমিতি’র ৫০ হাজার সমবায়ী।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি মাস খানেক আগে ‘জেলার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সমস্যা শীর্ষক’ সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন সহযোগী সরকারী ও বে সরকারী সংস্থার সমন্মিত সভায় গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় আসে এবং বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য জেলা প্রশাসন’ কক্সবাজার সরকারের উচ্চ প্রর্যায়ে প্রতিবেদন অগ্রবর্তি করেন। সংযোগ সড়ক সংশ্লিষ্ট ‘বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সি.সি.ডি.বি ও ‘জাইকা’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকতা নিশ্চিত করেন। উপজেলার চরন্দিপ,ফাঁসিয়াখালী,রিংভং সহ বহু জনপদের মানুষ জমির যথার্থমূল্য না পাওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত।
‘বদরখালী সমবায় সমিতি-এলাকার উপর দিয়ে সরকারের একাধীক মেগা প্রকল্প বিশেষ করে রেল সংযোগ সড়ক, গ্যাস সঞ্চালন লাইন (সমাপ্ত) ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর সংযোগ সড়ক এর জরীফ কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্তির পথে এবং আরো কয়েকটি মেগা প্রকল্প প্রস্তাবাধীন। উপরোক্ত ৩ টি প্রকল্পে শুধু বদরখালী সমিতির মালিকানাধীন ইহার সদস্য পোষ্যদের ভোগ-দখলীয় প্রায় ৩ শত একর জমি অধীগ্রহণের আওতায় পড়েছে কিন্তু সমিতির অভ্যন্তরে ইহার ‘উপ- আইন’ ও ‘সমবায় সমিতি আইনে’র বিধান মতে হস্থান্তর/বিক্রয় এর প্রচলিত দরে মূল্য নির্ধারণ হয়নি।
পক্ষান্তরে উপজেলা সাব্ রেজিষ্ট্রি অফিস’ চকরিয়া বদরখালী সমিতি এলাকার জমির প্রচলিত মূল্যের অন্ততঃ ১৭/১৮ গুণ কম একটা মনগড়া মূল্য তালিকা ভুক্ত করেন। এহেন বাস্তবতায় সমিতি ও ইহার ৫০ হাজার সমবায়ী নিজেদের জমির প্রচলিত ন্যার্য মূল্য না পাওয়ার অশঙ্কা ও অস্থিত্ত হারানোর মতো অবস্থায় পড়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করে সমবায়ীরা ইতিমধ্যে মানব-বন্ধন,সাংবাদিক সম্মেলন করেছে যা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টিবি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। সদস্য পোষ্যরা তাদের ভোগ-দখলীয় জমির মূল্য সমিতির অভ্যন্তরে বিক্রয়/হস্থান্তর এর মূল্যের আলোকে নির্ধারণ করার জন্য আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গক্রমে সমিতির জনৈক সদস্য আকতার কামাল বলেছেন সরকার প্রধান সমবায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় উন্নয়নে অধীকতর গুরুত্ত দেওয়ার কথা বলছেন কিন্তু সমিতির সম্পদ এর যথার্থ মূল্য নির্ধারণ না করে ইহার অস্থিত্ত হুমকির মুখে টেলে দিচ্ছে যা স্ববিরুধী একটা সিদ্ধান্ত বটে। সমিতির সদস্য রশিদ আহমদ এম,এ, মাসুম,রিদুয়ান সিকদার,জয়নাল আবেদীন,মজিদ প্রমুখ সমিতির মালিকানাধীন জমির মূল্য সমিতির অভ্যন্তরে পরস্পরের মধ্যে হস্থান্তর/বিক্রয় এর আলোকে নির্ধারন করার জোর দাবী জানিয়েছেন।