ফের সৈকতে পর্যটকের ঢল

ফের সৈকতে পর্যটকের ঢল
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গতকাল শুক্রবারে পর্যটকের ঢল নামে সাগরতীরে। ছবিটি সুগন্ধা পয়েন্ট হতে বেলা ১১টায় তোলা
করোনার সংক্রমণ কমে আসায় ফের বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে ঢল নেমেছে পর্যটকের। দীর্ঘ ২ কিলোমিটার সাগরতীর জুড়ে লোকে-লোকারণ্য।

আনন্দ আর হই-হুল্লোড়ে ভুলে গেছে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার নিয়ম। তবে সাগর উত্তাল হওয়ায় সমুদ্রস্নানে নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ লাইফ গার্ড কর্মীদের। আর নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাইকিং করছে বলে জানিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাচ্ছে সমুদ্রের রূপ। শীতল সাগরে ফিরেছে ঢেউয়ের উত্তাপ। বেড়েছে সূর্যের তাপও। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ২ মাস সৈকত শহর কক্সবাজারে কমেছিল পর্যটকের আগমন। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ কমতে থাকায় ফের সৈকতে বেড়েছে পর্যটক।
সাগরতীর জুড়ে পর্যটকের ঢল। আনন্দ আর হই-হুল্লোড়ে মেতেছে ভ্রমণপিপাসু।
নারাণগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রহিম উদ্দিন বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজারে বেড়াতে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে আসতে পারেনি। এখন একটু কমার কারণে পরিবার নিয়ে ৩ দিনের জন্য ঘুরতে আসলাম। বেশ মজা হচ্ছে।
আরেক পর্যটক হুমায়ুন কবির বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কক্সবাজারে বেশ আনন্দ করছি। তবে মানুষের চাপ বেশি আর সূর্যের তাপও বেড়েছে।

রিয়াজ উদ্দিন নামে আরেক পর্যটক বলেন, পর্যটকের চাপ বাড়লে এখানকার ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। যেমন এখন টিউব ব্যবসায়ী ও জেড স্কি ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকের চাপ বাড়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে লাইফ গার্ড কর্মীদের। তবে সমুদ্রস্নানে নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ তাদের।
সি সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ মো. ওমর ফারুক বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে; যা বোঝা যায় সমুদ্রের ঢেউ দেখে। এখন সাগর উত্তাল তাই পর্যটকদের নিয়ম মেনে গোসল করা প্রয়োজন দুর্ঘটনা এড়াতে। বিশেষ করে যেখানে পতাকা রয়েছে এবং লাইফ গার্ড কর্মীরা দায়িত্ব করছে সেখানে গোসল করলে নিরাপদ।
আর টুরিস্ট পুলিশ বলছে, পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানতে মাইকিং করছেন তারা।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বপালনরত টুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক মিঠুন দত্ত বলেন, পর্যটন স্পট ও সৈকতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কারণ, এখন পর্যটকের চাপ বেড়েছে।
সৈকত শহর কক্সবাজারে পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য রয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

পর্যটন


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.