কেটে গেছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব, বাড়বে পর্যটক

কেটে গেছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব, বাড়বে পর্যটক
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব কেটে যাওয়ায় কক্সবাজারে ধীরে ধীরে পর্যটক বাড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজেও মিলছে না টিকেট। আগামী সপ্তাহ থেকে পর্যটকের চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছে হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ১৯ আগস্ট থেকে কক্সবাজারের পর্যটন খুলে দেওয়া হলেও ১৭ আগস্ট থেকেই আসতে শুরু করে পর্যটক। ডিসেম্বরের শুরুতে পর্যটক বাড়লেও স¤প্রতি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ হলে কিছুটা কমে যায় পর্যটক।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, এই সময়ে যা পর্যটকের আগমন ঘটেছে এতেই আমরা সন্তুষ্ট। এখন আর হোটেল মোটেলের ৯০ ভাগ কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজে যোগদান করেছেন। আমরা সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাঁরা হোটেলে থাকার সুযোগ পাবে না।
সাইমন বøæ-পার্ল এর তত্বাবধায়ক সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমানে খুব ভাল অবস্থা। বিজয় দিবসের দিন থেকে জানুয়ারীর ৫ তারিখ পর্যন্ত হোটেলের সব কক্ষই অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। আশাকরি এই মৌসুমে ভাল পর্যটক আসবে।

সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী কর্ণফ‚লী এক্সপ্রেসের পরিচালক বাহাদুর হোছাইন জানিয়েছেন, দূর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল দুইদিন বন্ধ ছিল। এখন আবার সচল হয়েছে। চলতি মৌসুমে পর্যটকের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন জানিয়ে বলেন জানুয়ারীর অর্ধেক সময় পর্যন্ত জাহাজের অর্ধেকেরও বেশী টিকেট অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। আশা করি পরিস্থিতি আরো ভাল হবে এবং আরো পর্যটক আসবে। কেয়ারী সিন্দাবাদের এজেন্ট সৈয়দ আলম জানিয়েছেন পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে কোন টিকেট নেই কেয়ারী সিন্দাবাদ জাহাজের। সবই অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে।
ইতোমধ্যে অনেকে টিকেট চাইলেও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমনের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় এমটি হেচ্ছে। মাংশ ব্যবসায়ী আবদুর রহিম জানিয়েছেন, আমরা এখন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। দেড় বছরের মধ্যে এখনই ব্যবসা চাঙ্গা হয়েছে। বিপুল পরিমান বিনিয়োগ রয়ে গেছে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টে।
ঢাকা থেকে আসা দম্পতি গোলাম মাওলা জানান, জীবনের প্রথম বার এসেছেন কক্সবাজারে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘর বন্দী ছিলাম। এখন একটু স্বস্থির জন্য কক্সবাজার এসেছি। তিনি জানান এই প্রথমবার এসে কক্সবাজারকে দেখলাম। এক সঙ্গে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ আর দেখিনি।
এদিকে পর্যটক সমাগমের কারণে সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক সাকের আহমদ জানান- ‘ট্যুরিস্ট পুলিশের ৮০ জন সদস্য সৈকতে দায়িত্ব পালন করছেন।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

পর্যটন

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.