কুতুবদিয়ায় টানা ভারী বর্ষনে পশুর হাট তলীয়ে গেছে। সময়মত আসন্ন কুরবানীর হাটে পশু উঠাতে না পারায় বিপাকে পরেছে খামারীরা।
উপজেলায় বড়ঘোপ বাজারের পশুর হাট বসে সমুদ্র সৈকতে। ধুরুং বাজারে বসে থাকে আশ্রায়ন প্রকল্পের মাঠে। চাহিদার চেয়ে এবার বেশি মজুদ রয়েছে বলে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে।
উপসহকারি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বাহাদুর জানান, উপজেলায় ছোট-বড় গরুর খামার রয়েছে ১৪৬টি। ছাগলের খামার ৫৭ টি ও ভেড়ার খামার ৩৭টি। ৩ খামারে ৭ হাজার ১২৩টি পশু মজুদ আছে আসন্ন কুরবানির জন্য।
খামারি আব্দু রশিদ বলেন, সময় আছে মাত্র ৪ দিন। দুটো হাটেই পানির বিরম্বনা। বড় গরুর ক্রেতা কম। বৃষ্টির কারণে কোন রকমে হাটে গরু বাঁধতে পারলেও ক্রেতাদের চলার জায়গা নেই। এক হাটে বিক্রি করতে না পারলে ফেরৎ গরু আতংকিত হয়ে খাবার খেতে চায়না।
ধুরুং বাজারের ইজারাদার কামরুল হাসান সিকদার বলেন, প্রবল বর্ষনে পশুর হাটে পানি ঢুকেছে। বৃষ্টি হচ্ছেই। জায়গার অভাবে বিক্রেতারা হাটে পশু উঠাতে শংকা বোধ করছেন। ব্যস্তকম এমন সড়কের পাশে পশু বিক্রির হাট সরিয়ে নেয়া হতে পারে।
গতকাল সোমবার বড়ঘোপ সৈকতে পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে প্রায় ২ হাজার পশু হাটে তোলা হয়েছে। তুলনামূলক দাম কম ।
স্থানীয় এবিসি মডেল কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অহিদুর রহমান সুজন বলেন, তার একটি ষাঁড় গরু বিক্রি করেছেন ২ লাখ টাকায়। এদিন এটাই সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। কুরবানির পশুর জন্য হাশিলের কড়াকড়িও নেই বলেও জানান তিনি।