মাত্র আধা ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতেই প্রায় এক ঘন্টা ধরে পানিতে ডুবে ছিল কক্সবাজার শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হোটেল-মোটেল জোন এলাকার এক কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যা স্থায়ী ছিল দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
পর্যটনকেন্দ্রিক এ এলাকায় সড়কে পানি ওঠায় বিপাকে পড়েন শত শত পর্যটক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় অনেক পর্যটক হোটেল থেকে বের হতে পারেননি। হোটেল-মোটেল জোন এলাকার কয়েকটি অলিগলিতেও ঢুকে পড়ে পানি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেস্তোরাঁ, দোকান ও হোটেল। তবে পরবর্তীতে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সড়ক থেকে নেমে যায় পানি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১২ টা থেকে শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবারও (৩১ মে) বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
সুগন্ধা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা পর্যটক সরওয়ার আলম বলেন, বৃষ্টিতে পুরো সড়ক ডুবে গেছে। এই সড়ক পার হয়ে যে সৈকতে যাব এই উপায়ও নেই। সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়া কোন যানবাহনও আসছে না। খুব বেকায়দায় পড়ে গেলাম।
আরেক পর্যটক আরিয়ান বলেন, সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এখন আর সাগরে যেতে পারছি না। তাই হোটেলে ফিরে যাব। পানি কমলে তারপরই হোটেল থেকে নেমে সাগরে যাব।
এদিকে হোটেল মোটেল জোনের এক কিলোমিটার সড়ক ডুবে যাওয়া বিপাকে পড়েন সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেকের প্রতিষ্ঠানে ঢুকে যায় পানি। যা নানা উপায়ে পরিষ্কার করছে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা।
সুগন্ধা পয়েন্টের ভাতঘরের সত্ত্বাধিকারী করিম বলেন, গেলো বছরও বর্ষা মৌসুমে ব্যবসা করতে পারেনি। এবছর একই অবস্থা হবে কিনা চিন্তায় আছি। কারণ মাত্র আধা ঘন্টার বৃষ্টিতে সড়ক পানিতে ডুবে গিয়ে দোকানে পানি চলে এসেছে। ব্যবসাও করতে পারছি না।
আরেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, সড়কের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু ভারি বৃষ্টিতে পাহাড়ের ঢল এসে আবারও নালাগুলো ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে সড়ক পানিতে ডুবে রয়েছে। এখানে সমন্বয়ের প্রয়োজন। যদি সবাই মিলে সমন্বয় করে এ অবস্থা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।