বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার

বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার
বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি নেই, বিরাজ করছে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। যার কারণে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ফিরেছে পর্যটক আর হাসি ফুটেছে সৈকতের ঘোড়াওয়ালা, ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক চালক ও হকারদের। একই সঙ্গে খুলেছে সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলো।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় নামিয়ে ফেলা হয়েছে জারিকৃত ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। আর গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টা থেকে শনিবার (৩১ মে) বেলা ১২ টা পর্যন্ত গেলো ২৪ ঘন্টায় কক্সবাজারে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হবে।
এদিকে দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলীতে ২০ হাজারের বেশি পর্যটক অবস্থান করছে। তারা অনেকেই বসে আছে কিটকটে, অনেকেই বালুচলে খেলছে। আবার অনেকেই উত্তাল সাগরে হাটু সমান পানিতে গোসল করছে।
সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থা কর্মী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ২০ হাজারের বেশি পর্যটক এসেছে। অনেকেই গোসল করছে। তাদের নিরাপত্তা আমরা সজাগ রয়েছি। সাগর এখনো উত্তাল। গত ২ দিনের তুলনায় আজকে একটু পানির উচ্চতা কম। তবে ঢেউ তীব্রতা বেশি। তাই পর্যটকদের পানিতে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে।

এদিকে সমুদ্রসৈকতে পর্যটক থাকায় হাসি ফুটেছে সৈকতপাড়ের ব্যবসায়ীদের। গত দুইদিন ব্যবসা না হলে শনিবার সকাল থেকে ব্যস্ততা দেখা গেছে সৈকতপাড়ের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক চালক, ঘোড়াওয়ালা ও হকারদের। একই সঙ্গে খুলেছে সৈকতপাড়ের বার্মিজ পণ্যের দোকানপাটগুলোও।
লাবনী পয়েন্টের ফটোগ্রাফার ফেরদৌস বলেন, গত দুইদিন এক টাকাও আয় হয়নি। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, যার কারণে সৈকতে পর্যটক এসেছে এবং ছবি তুলে ৫০০ টাকা আয় করেছি।
ঘোড়াওয়ালা শাহীন আলম বলেন, সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ৩০০ টাকা আয় করেছি।
বিচ বাইক চালক আব্দুল আজিজ বলেন, পর্যটকদের বিচ বাইকে ঘুরিয়ে দুপুর পর্যন্ত ১৮০০ টাকা আয় করেছি।
লাবনী শামুক-ঝিনুক মার্কেটের দোকানদার মো. রাসেল বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলো গত ২ দিন বন্ধ ছিল। আজকে যেহেতু আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে, সেক্ষেত্রে দোকানপাটগুলো খুলেছি। এখন ব্যবসা হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.