উচ্চ আদালতের রায়ে হেরে গেলেন সালাহউদ্দিন

উচ্চ আদালতের রায়ে হেরে গেলেন সালাহউদ্দিন
# কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান
 

আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নামে সৃজিত দলিল ও রেজুলেশন অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমানকে ইউনিভার্সিটির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন আদালত। 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা সংক্রান্ত মামলাটি দীর্ঘ টানা ৮ মাস শুনানির পর  বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাইকোর্টের  বিচারপতি ফাতিমা নজিব ও শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ চূড়ান্ত রায় দেন। 
একই রায়ে ২০২০ সালে সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলীয় ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন উপদেষ্টা এডভোকেট কেএম সাইফুল ইসলাম। 
তিনি জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপির নেতৃত্বে ভুয়া সৃজিত ট্রাস্ট দলিল ও অবৈধ রেজুলেশনকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২৩ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করেছিলেন লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। 
একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও মো: আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ উক্ত ভুয়া ট্রাস্ট দলিল এবং রেজুলেশন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন।
উক্ত রুলের উপর হাইকোর্টের  বিচারপতি ফাতিমা নজিব ও শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানির পর ২২ মে রায় ঘোষণা করেন। এতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন এই আইনজীবী। 
লায়ন মুজিবুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সিনিয়র এডভোকেট একেএম বদরুদ্দোজা।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আমাতুল করিম। সালাহউদ্দিন আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের ২ জুন করোনার দুঃসময়ে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নেয় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলীয় লোকজন। তার এই দখলদারিত্ব নিরাপদ রাখতে প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একে একে দুইটি মিথ্যা মামলা দেয়। এরপরও থমকে যাননি মুজিবুর রহমান। আইনিভাবে সবকিছু মোকাবেলা করেছেন। অবশেষে সত্যের জয় হয়েছে। 
কক্সবাজারের প্রথম ও একমাত্র বেসরকারি ইউনিভার্সিটির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হলো হাইকোর্টের মাধ্যমে। এই খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কক্সবাজারে শিক্ষানুরাগী মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পুণরুদ্ধার ও আইনগত জটিলতা নিরসনে যারা বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মজিবুর রহমান। 
এদিকে মামলার রায়ের খবরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক শুকরানা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. তৌহিদ হোসেন চৌধুরী, পরিচালক (এইচ আর) খুরশিদুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ হামিদুর রহমান, সহকারী পরিচালক (পিআর এন্ড মিডিয়া) ইমাম খাইরসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.