কৃষির বিভিন্ন উপখাতে ক্রমাগতই উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে; কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও সবার জন্য খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে এবং তা টেকসই করতে হলে এ প্রবৃদ্ধির হার আরও গতিশীল করা দরকার। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে কৃষি খাতের বাজেট বরাদ্দ ও ভর্তুকি হ্রাস পেয়েছে। এর পরিমাণ আরও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষির চিরায়ত উৎপাদনব্যবস্থাকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত করার জন্য পুঁজির সঞ্চার ঘটাতে হবে। তা ছাড়া কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপনে এবং এর বিপণনে বিশেষ সহায়তা প্রদান করতে হবে। কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রমকে চিহ্নিত করতে হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের খাত হিসেবে। উপরোক্ত বিষয়কে সামনে রেখে কক্সবাজারে কৃষির উন্নত উৎপাদন কৌশল এবং বাজার উন্নয়নের উপর সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ এই ৪ উপজেলার কর্মকর্তাদের নিযে ২১ মে বুধবার ঝিলংজা হর্টিকালচার সেন্টারের হলরুমে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এর অর্থায়নে ও সুশীলন এর সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশিক্ষণশালায় মূল আলোচক হিসাবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন কৃষি বিপণন কেন্দ্র ঢাকা এর কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর ডক্টর রাজু আহমেদ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপপরিচালক কৃষিবিদ ডক্টর বিমল কুমার প্রামানিক এর সভাপতিত্বে পরিচালিত প্রশিক্ষণে আরো উপস্থিত ছিলেন ঝিলংজা হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কুতুব উদ্দিন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা(এফএএও) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর দিয়া সানাউ, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদ হাসান, রামুর তানজিলা রহমান, উখিয়ার এস এম নাসিম হোসেন, টেকনাফের জাকির হোসেন, কৃষি তথ্য সার্ভিস এর কর্মকর্তা লোকমান হাকিম, সুশীলনের পরিচালক রফিকুল হক, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা এর কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, অতনু ভ্ট্টচার্য, সুশীলনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আশীষ কুমার মজুমদার, প্রকল্পের আওতাধীন ৪ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও উপসহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন এ প্রশিক্ষণ বাজার সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং কৃষি সমবায়গুলোকে বৃহত্তর বাজারে প্রবেশে উৎসাহিত করবে।উৎপাদন ও বিপণন উভয় ক্ষেত্রেই সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা উন্নয়ন, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং কক্সবাজারে কৃষি খাদ্য ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।