টেলিপ্যাব থেকে রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি

টেলিপ্যাব থেকে রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি
রোকেয়া প্রাচী বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে একটি পরিচিত নাম। টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সহ-সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে সংগঠনে তার সাধারণ সদস্যপদ থাকবে। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবলু। সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল গণমাধ্যমকে জানান, সংগঠনের সহ-সভাপতিকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে শিগগিরই বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। 
গত ৮ জুন রাজধানীর বনানি ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে আদনান-দোদুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে টেলিপ্যাব। এই কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন রোকেয়া প্রাচী।
দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রোকেয়া প্রাচী। দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন তিনি। সর্বশেষ ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আগের রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গেলে উচ্ছৃঙ্খল জনতা তাকে পিটুনি দেয়।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে জয় পরাজয় নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে দুখাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে তার অভিষেক হয়।
তার অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলো। প্রাচী অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি নাটক, কাহিনীচিত্র ও টেলিছবি নির্মাণ করেছেন। 
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তালিকা, স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, রুবিনা, আমেনা ও ফুলকির গল্প। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সহিদ রহমানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত কাহিনীচিত্র কবি ও কবিতা পরিচালনা করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন, সেটিই ছিল তার প্রথম পরিচালনা, এরপর তিনি লুৎফুন্নেসা ও বায়ান্নর মিছিলে নামে আরও দুটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

বিনোদন

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.