চকরিয়ায় আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনায় এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

চকরিয়ায় আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনায় এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ
চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুরে আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ বলছে, খুনিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টীম মাঠে কাজ করছে। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত কারা মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। এজাহার দিলেই মামলা নেওয়া হবে বলে জানান চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় আসল তথ্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন। খুনের ঘটনায় জড়িত যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। প্রিয়স্বজনকে হারিয়ে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। কী কারণে তাদের প্রিয়জনকে হত্যা করলো এখনো বুঝে উঠতে পারছে না। হত্যাকান্ডের দুদিন পরও খুনিরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় তাদের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী জানান।

অপরদিকে নিহত মোহাম্মদ সেলিম ও শফিউল আলমের জানাজার নামাজ বুধবার রাত দশটার দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানিকপুর উত্তরপাড়া গ্রামে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়। জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আজিমুল হকসহ গণমান্য ব্যক্তিরা।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ সেলিম ও একই এলাকার মৃত আবু ছালামের পুত্র শফিউল আলম একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওইসময় অতর্কিতভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহেদ সিকদার ও তার ভাগিনা বাবুর নেতৃত্বে ৭-৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এসময় মোহাম্মদ সেলিম ও শফিউল আলম মাটিতে লুঠিয়ে পড়লে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলে সেলিম ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শফিউল আলমকে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে একইদিন রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। বর্তমানে মানিকপুর উত্তর পাড়ায় থমথমে বিরাজ করছে।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.