১৭ই এপ্রিল সকাল ১০ টায় কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের মিলনায়তনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছৈয়দ করিম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক ও বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক বহু সফল প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এম এম সিরাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৭ই এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন স্বার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিচালনা ও স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে স্বাধীনত অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। অস্থায়ী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় এবং বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন ও স্বার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গঠন করে স্বাধীনতার মুলমন্ত্রে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তৈয়ব। শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রাতঃশাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল মালেক কুতুবী, প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন, রেজাউল করিম, নাজমা বেগম, আনজুমান আরা বেগম এবং সহকারী শিক্ষক সেলিনা আকতার।
সবশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শফিউল আলম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক নিজামুল বাহার ও মোঃ ইমতিয়াজ হাসান।