লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ সদস্যের অনাস্থা

লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১২ সদস্যের অনাস্থা
ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারার বিধান মোতাবেক লামকর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পরিষদের ১২ জন ইউপি সদস্য। সরকারী বরাদ্দের কোটি টাকা আত্মসাত, ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ আরো নানাবিধ অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপরাসণপূর্বক অব্যহতি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গতকাল লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বরাবরে লিখিত অনাস্তা প্রস্তাব দেন তারা।

চেয়ারম্যানের নুরুল হোসাইনের বিরোদ্ধে যেসব ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেন তারা হলেন, (১)মংমেগ্য মার্মা, ইউপি সদস্য, ১নং ওয়ার্ড (২)কুতুব উদ্দিন মিয়া, ইউপি সদস্য, ২নং ওয়ার্ড এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-১ (৩) মোঃ হোছাইন মামুন, ইউপি সদস্য, ৩নং ওয়ার্ড, (৪)মোঃ আবু ওমর, ইউ.পি সদস্য, ৪নং ওয়ার্ড, (৫) আব্দু রহিম, ইউ.পি সদস্য, এনং ওয়ার্ড এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-৩, (৬) মোঃ হেলাল উদ্দিন, ইউ.পি সদস্য,(৭)মোঃ জিয়াবুল, হাউ.পি সদস্য, ৭নং ওয়ার্ড, (৮) মোঃ ইসমাইল, ইউ.পি সদস্য, ৮নং ওয়ার্ড (৯)আ প্রু সিং মার্মা, ইউ.পি সদস্য, ৯নং ওয়ার্ড, (১০) জোসনা আক্তার লিলি, ইউ.পি সদস্য(সংরক্ষিত মহিলা আসন), ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড, (১১)শাহানা আক্তার, ইউ.পি সদস্য (সংসরক্ষিত মহিলা আসন), ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড, (১২) আনাই মার্মা, ইউ.পি সদস্য (সংরক্ষিত মহিলা আসন), ৭.৮,৯ নং ওয়ার্ড এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-২।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে,  ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে নুরুল হোছাইন চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব পালনে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ করেন এবং সম্পূর্ণ একক কর্তৃত্বের মাধ্যমে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন।  সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রকল্পে দূর্নীতি ও লুট পাটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একইভাবে ইউপি সদস্যদের সরকারী বরাদ্দের বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে সম্পূর্ণ গোপনীয়ভাবে ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে একক কর্তৃত্বে কোন প্রকার কাজের বাস্তাবায়ন ব্যতিরেখে বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতে লিপ্ত হন। বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী প্রকল্প সমূহ অর্থাৎ টি.আর, কাবিটা, এল.জি.এস.পি-১, এল.জি.এস.পি-২, এল.জি.এস.পি-৩ প্রকল্প সমূহসহ ইউপি টুল, ট্যাক্স, হোল্ডিং ট্যাক্স, জাতীয়তা সনদ পত্র থেকে আয়, জন্ম নিবন্ধন, প্রত্যয়ন পত্র ও রোহিঙ্গা নয় মর্মে প্রদত্ত সনদসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের বিষয়ে ইউপি সদস্যদের কোন প্রকার অবগত বা অবহিত না করে প্রকল্প সমূহ থেকে দূর্নীতির মাধ্যমে ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের কোন প্রকার কাজ না করে ইউপি সদস্যদের অজ্ঞাতে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ওই প্রকল্প সমূহের লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছেন। 
এ ব্যাপারে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষের ১২ জন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইনের  বিরোদ্ধে লিখিত অনাস্ত প্রস্তাব এনে  একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করা হবে। 

আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার

পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক: ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম (সজীব)

© 2024 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.