উখিয়ার ইনানী সৈকতের একটি রিসোর্টে বুধবার দুপুরে একজন পযটক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ঢাকা কাফরুলের ইব্রাহিমপুর এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মোহাম্মদ নিজামকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে। নিজাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কদমতলীর শামসুল হকের পত্র।
জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল আরেক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, এঘটনায় অভিযুক্ত নিজামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে বুধবার বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় উখিয়া থানায় বুধবার মো. নাজিমকে আসামি করে নারী ও শিশু নিযাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এক বান্ধবীকে নিয়ে মামলার বাদি গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসেন। উঠেন উখিয়ার ইনানী সৈকতের লা বেলা রিসোর্টের ‘রোজ’ কটেজের নিচ তলার ৪০২ নং কক্ষে। তাঁদের সঙ্গে আসেন এক মাস আগে পরিচিত ব্যক্তি মোহাম্মদ নিজাম। তিনি উঠেন পাশের ৪০১ নং কক্ষে। নিজাম মামলার বাদির সাথে আসা বান্ধবির পূর্ব পরিচিতি ছিলেন। মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্ধবী সৈকত ঘুরতে যান। মাথা ব্যাথা জনিত কারণে বাদি ৪০২ নং কক্ষে অবস্থান করছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজাম ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। তার আত্মচিৎকারে হোটেলে লোকজন এগিয়ে এলে নিজাম পালিয়ে যান। পরে জরুরি সেবার ৯৯৯-নম্বরে কল দিলে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাদীকে উদ্ধার করে।
পুরে পুলিশ ইনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাজিমকে গ্রেপ্তার করে।
লা বেলা রিসোর্টের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ১৫ এপ্রিল দুপুরে রিসোর্টে এসে মো, নিজাম দুইটি এসি কক্ষ ভাড়া নেন। ৪০২ নং কক্ষে উঠেন ২ নারী। নিজাম উঠেন পাশের ৪০১ কক্ষে। নিজাম এসময় দুই তরুণীকে চাচাতো বোন পরিচয় দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে রিসোর্ট কক্ষে তরুণীকে ধর্ষণের বিষয়টি তাঁদের কেউ জানায়নি।