রামুতে যাত্রীবাহি বাস ও ক্যাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ২০ জন। হতাহত সবাই বাসের যাত্রী।
সোমবার, ১৬ জুন সকাল আটটায় রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের পানিরছড়া নামক এলাকায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতলী গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে হাবিব উল্লাহ (৫৫) এবং তার ছেলে মাদ্রাসা ছাত্র রিয়াদ (১১), রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজারকুল গ্রামের হিমাংসু বড়ুয়ার মেয়ে রিমঝিম বড়ুয়া (২২)। দূর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরও ৪/৫ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
মুখোমুখি সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম অভিমুখি যাত্রীবাহী বাস পূর্বাণী খাদে উল্টে পড়ে। এতে যাত্রীরা বাসটির নিচে চাপা পড়লে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পটিয়ায় একটি কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো রিয়াদ। সকালে বাবা তাকে পৌঁছে দিতে যাওয়ার পথে তারা দূর্ঘটনার কবলে পড়েন। অপরদিকে নিহত রামুর মেয়ে রিমঝিম বড়ুয়ার বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিলো আগামী ৬ জুলাই। কিন্তু বিয়ের আগ মূহূর্তে সড়ক দূর্ঘটনায় তাকে যেতে হলো অন্তিম যাত্রায়।
খবর পেয়ে হাইওয়ে, রামু থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এসময় ওই স্থানে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। দূর্ঘটনায় আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রামু তুলাতলী ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন- আহত আরও কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এছাড়া নিহত ৩ জনের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
