দৈনিক কক্সবাজারে খবর প্রকাশের পর অবশেষে অপসারণ করা হলো কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রবেশদ্বারের ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ডটি।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ এটি ভেঙে সরিয়ে ফেলে।
এরআগে, শুক্রবার দৈনিক কক্সবাজারে ‘লাবণী পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড, ভয়ে পর্যটকরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরপরই ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ডটি অপসারণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক মাকছুদ মিয়া বলেন, ‘ঈদুল আজহার আগে সচেতনতা বিলবোর্ডটি আংশিক ভেঙে পড়ে। তারপর এটিকে মেরামত করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এরপর ঈদের ছুটি হয়ে যায়। ফলে বিলবোর্ডটি মেরামত করা হয়নি। এর পরে বিলবোর্ডটি আরও ভেঙে যায়। যা অজানা ছিল। কিন্তু শুক্রবার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ এই বিলবোর্ডটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেয়। তাই এটি এখান থেকে ভেঙে সরিয়ে ফেলা হয়। এটি যে অবস্থা ছিল যদি না সরানো হতো তাহলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা সংঘটিত হতো।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, ‘বিলবোর্ডটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ছিল। তাই শনিবার সকালে বিলবোর্ডটি ভেঙে অপসারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশবিষয়ক বার্তা পৌঁছাতে লাবণী পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছিল একটি সৃজনশীল বিলবোর্ড, যার বার্তা ছিল: ‘সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ: আপনি-আমি দায়ী নই তো?’। বাঁশ ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এই বিলবোর্ডে সামুদ্রিক মাছ, অক্টোপাস প্রভৃতি বস্তু দিয়ে বোঝানো হয়েছিল কীভাবে প্লাস্টিক দূষণ প্রাণিজগতের ক্ষতি করছে। কিন্তু গত ৫ জুন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও ঝড়ো বাতাসে সেটি আংশিক ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়েছিল বিলবোর্ডটি।