তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে

তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে
ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি শেষ হচ্ছে শনিবার (১৫ জুন)। ছুটির শেষদিনের আগের দিন শুক্রবার (১৩ জুন) কক্সবাজার সৈকতে ছিল তিল ধারণের ঠাঁই নেই অবস্থা। প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে সৈকতজুড়ে শুধু পর্যটক আর পর্যটক। সাগরতীর যেন পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে।

শুক্রবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়াড়ি কিংবা নোনাজল সব জায়গা কানায় কানায় পূর্ণ। তীব্র গরমও হার মানছে উৎসবমুখর ভ্রমণপিপাসুদের উচ্ছ্বাসে।
শুধু সুগন্ধা নয়, পর্যটকে ভরপুর ছিল লাবনী, কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ারটেক ও মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত এলাকা।
ঢাকার মতিঝিল থেকে আসা পর্যটক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এখন সমুদ্রে গোসল করছি। বিকেলে মেরিন ড্রাইভে ঘুরব, এরপর শনিবার রাতে ঢাকায় ফিরব।’ 
 
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা শফিক মুন্সী বলেন, ‘অনেক মানুষ, তবুও পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করছি, ছবি তুলছি, বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ছি।’ 
 
আরেক পর্যটক রাইহান আবীর বলেন, ‘নোনাজলে গোসল করে যে প্রশান্তি মেলে, তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। সেই টানেই এসেছি।’
 
পর্যটকদের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড।
 
সী-সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র কর্মী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিনের মধ্যে শুক্রবারেই সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছে। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তিনটি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক কাজ করছি।’

আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.