রামুতে পুলিশ কনস্টেবলের দা এর কোপে যুবক আহত

আহত জিশান ফারহানের চাচাতো ভাই ইরফান জানান, ব্রীজের পাশে সৃষ্ট জলাশয়ে সম্প্রতি মাছের পোনা ছাড়েন জিশান ফারহান। মঙ্গলবার ওই জলাশয়ে দখলের উদ্দেশ্যে ঘেরাবেড়া দেন একই এলাকার কালু সওদাগরের ছেলে মো. শফি। এ নিয়ে বুধবার সকালে শফি ও তার ভাই নুরুল আলম, পুলিশ কনস্টেবল ফরিদ ও খালেকের সাথে ফারহানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শফির ছোট ভাই পুলিশ কনস্টেবল মো. ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে ফারহানকে দা দিয়ে কোপ দেয়। এসময় দা’এর আঘাতে ফরহানের হাতের একাংশ কেটে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার পর এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য আল শাইর জানান- ঘটনার পর ফারহানের হাতে কাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেছেন। হাতের একাংশ ঝুলছিলো। তিনি তাকে দ্রুত চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঘটনার সঠিক কারণ তিনি জানেন না।

জানা গেছে, হামলায় অভিযুক্ত ফরিদ বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল (গাড়ি চালক) হিসেবে খুলশী থানায় কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে। পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটিতে তিনি এলাকায় অবস্থান করছিলেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মো. ফরিদ জানান- মাছ চাষের বিষয়ে বিরোধের জের ধরে তার ভাই শফির সাথে ফারহানের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিনি দুপক্ষই দা নিয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। এসময় তিনি উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় নিজের দা এর আঘাতে আহত হন ফারহান। তাই তার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান তিনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।