সুগন্ধার সেই আলোচিত সরকারি জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে'র) একটি টিম। এর আগে সুগন্ধার ও-ই জায়গায় দুদকের ঠিম পৌঁছালে ভিতরে ও বাইরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কেউ দরজা না খোলায় অনেকটা ক্ষুব্ধ হন দুদকের সদস্যরা। পরে অনেকটা জোর করেই প্রবেশ করতে হয়েছে দুদকের অভিযানিক দলকে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের সুগন্ধার কয়েকশো কোটি টাকার সরকারি জমি জাল খতিয়ানে দখলের পায়তারার অভিযোগ পেয়ে দুদকের একটি টিম অভিযানে যায়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী পরিচালক (দুদক) অনিক বড়ুয়া জানান, গত কয়েকদিন থেকে সুগন্ধার সরকারি একটি জায়গা নিয়ে জাতীয় এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের বিষয়টি নজরে আসে। এছাড়া ওই জায়গা সম্পূর্ণ সরকারি একটি জায়গা। কিছু অসাধু ব্যাক্তি উক্ত জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ও-ই জায়গা যে ব্যাক্তি নিজের মালিকানাধীন জায়গা বলে দাবি করছে তাকে নিয়ে ও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এরকম অভিযোগে পেয়ে আমাদের একটি টিম অভিযান যায়। কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও দরজা খুলতে পারিনি। পরে গণমাধ্যম কর্মীরাসহ দরজা খুলতে সক্ষম হই।
এদিকে ও-ই সময় দুদকের অভিযানের খবর পেয়ে সংবাদ কাভার করতে উপস্থিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা। সাংবাদিক দেখে ক্ষিপ্ত হয় সেখানে দায়িত্বরত কেয়ারটেকার শিমুল।
তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমিসহ নয়ন ও কাজল বড়ুয়া এই জায়গার দেখভালের দায়িত্ব আছি। কে বা কারা তাঁদের দায়িত্ব দিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ' সচ্চিদানন্দ সেন গুপ্তের লোকের নির্দেশে তারা কাজ করছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানান, দুদকের অভিযানের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় সাংবাদিকেরা। কিন্তু সংবাদকর্মীদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শিমুল।
দুদকের সহকারি পরিচালক অনিক বড়ুয়া বলেন, 'খাসজমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।