কুতুবদিয়ায় দীর্ঘ দিনের পরিত্যক্ত ভবন ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও তা ভেঙে ফেলা হচ্ছেনা। ব্যস্ত সড়ক,বাজারের ওপর এসব দাড়িয়ে থাকা ভবনগুলো যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পরতে পারে। ফলে প্রাণহানীর আশংকা করছেন অনেকে।
সম্প্রতি একাধিক স্থানে নতুন ভবন হওয়ায় কয়েকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে পরিত্যক্ত ভবন। এখনো অন্তত ১৫ টি পরিত্যক্ত ভবন দূর্ঘটনার অপেক্ষা করছে।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ স্টেডিয়াম লাগোয়া ১৯৬০ সালে নির্মিত দুইতলার ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি দুই দশক ধরে পরিত্যক্ত হিসেবে রাস্তার ওপর।দরজা,জানালা নেই, প্রতিনিয়ত প্লাস্টার খসে পরছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পথ শিশু,গরু-ছাগল অবাধে বিচরণ সেখানে। বখাটেদের গাজা,মদ সেবনের নিরাপদ আবাস সেটি। ধুরুং বাজারের পাশেই ভূঁতরে পরিবেশে রয়েছে একতলার সাবেক খাদ্যগুদাম ভবন। কুতুবদিয়ার প্রথম রড ছাড়া ইটের একতলা দালান পরিত্যক্ত এখন দক্ষিণ ধুরুং আলী আকবর সিকদার পাড়ায়।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের পুরাতন ভবনটি মেয়াদহীন ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে রয়েছে। উপজেলার একমাত্র সরকারী ডরমেটরী ভবনটি রয়েছে মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে। টিএন্ডটি ভবন রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যেই। মুরালিয়া স্টেডিয়ামের পাশেই রয়েছে দুই তলার পরিত্যক্ত ভবন। আলী আকবর ডেইল, তাবালের চর, বড়ঘোপে সাবেক খাদ্য গুদাম রয়েছে এই তালিকায়।
অমজাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি বেড়িবাঁধের ওপর, তাবালের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের পরনো ভবন বাজারের ওপর। পশ্চিম ধুরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আগের ভবনটিও মারাত্বক ঝুঁকিতে বলে জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুসলিম উদ্দিন।
উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের পাশেই একতলার পরিত্যক্ত ভবন পরে আছে।
২০০৫ সালে উত্তর ধুরুং তালুকদার বাড়ির পাশে পুরাতন সাইক্লোন শেল্টার ধ্বসে একজন রড চোর ও ২ জন শিশু মারা যায়। অমজাখালীতে পুরাতন কমিউনিটি ক্লিনিকের একই দশা হয়ে আছে।
ধুরুং হাই স্কুল এন্ড কলেজ প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল আলম বলেন, পুরাতন কমিউনিটি সেন্টার যেকোন মূহুর্তে ধ্বসে পরতে পারে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করতে ভয় পাচ্ছে। ভেঙে পড়া ছাড়াও ভুঁতরে পরিবেশ আতংকের। দক্ষিণ ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আল আজাদ বলেন, কমিউনিটি সেন্টারটি ভেঙে ফেলতে অন্তত ১০ বার উপজেলা সভায় রেজুলেশন হয়েছে। কিন্তু কোন মন্ত্রনায়ের অধীনে এসব করবে,তার হদিস মিলছেনা।
উপজেলা প্রকৌশলী আবুসউদ্দিন বলেন, পরিত্যক্ত ভবন কতগুলো আছে কিংবা ভেঙে ফেলার বিষয়ে কোন তথ্য তার কাছে নেই। উপজেলা পরিষদের অধীনে থাকলে সেটি তার এখতিয়ার হতে পারে।
এভাবেই ঝুঁকির মধ্যে পরিত্যক্ত ভবনগুলো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকলেও জনস্বার্থে ভেঙে ফেলতে কোন মন্ত্রনালয় বা বিভাগ দায় নিচ্ছেনা। জরুরী ভিত্তিতে উপজেলার সকল পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার জন্য দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।