মিয়ানমারের স্বশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির বন্দিশালা থেকে ১৯ পর কৌশলে পালিয়ে আসে বাংলাদেশী যুবক মুফিজুর রহমান। ফলে স্বস্তি ফিরে আসে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে।
মঙ্গলবার ( ২৯ এপ্রিল) গভীর রাতে সে পায়ে পরানো কড়া সারারাত দাঁতে কামড়ে পা খুলে চেংছড়ি তথা নেমেরে বন্দিশালা থেকে বাংলাদেশ সীমানায় পৌঁছে। পরে বাংলাদেশ সীমানা পার হয়। পথিমধ্যে হাজারো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পরিবারের কাছে পৌঁছে যায়। বিষয়টি এ প্রতিবেদককে বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মুক্ত যুবক মুফিজুর রহমান।
সে আরো জানান, গত ১০ ও ১১ এপ্রিল ২ দিন ধরে সেই বন্দিশালায় বেঁধে মারধর করতো স্বশস্ত্র এ গোষ্ঠীর সদস্যরা। এছাড়াও হাত-পা বেঁধে রাখা হয় ১ সপ্তাহ। ৮ দিনের মাথায় হাত খুলে দিয়ে ২ পায়ে গাছ কড়া পড়িয়ে দেয়া হয়। ১২ দিনে ১ পায়ে গাছ কড়া পরিয়ে রাখা হয়। ১৮ তম দিন রাতে গাছ কড়া খুলে পালিয়ে আসে যুবক মুফিজুর রহমান।
মুফিজুর রহমান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলতলী গ্রামের মৃত পেঠান আলীর ছেলে।
৬০ বছর বয়সী মা নুরজাহান বেগম বলেন, একমাত্র ছেলে বুকে ফিরে এসেছে এটি বড় পাওয়া। ছেলে এখন অসুস্থ, চিকিৎসা নিচ্ছে। তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।