ঈর্ষান্বিত হয়ে পালং নার্সিং ইনস্টিটিউট নিয়ে অপপ্রচার

ঈর্ষান্বিত হয়ে পালং নার্সিং ইনস্টিটিউট নিয়ে অপপ্রচার
# প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানের দাবী

কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত পালং নার্সিং ও কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গুটিকয়েক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষাপটে প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এই নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহ সুজন।
তিনি বলেছেন, গত ১৫/২০ দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স ও পালং কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউট এবং আমাকে নিয়ে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি মোহাম্মদ সোহেল ও শফিক নামের দুইজন তাদের ফেইসবুক আইডি থেকে ও গুটি কয়েক গণমাধ্যম অসত্য, ভুয়া, মনগড়া তথ্য প্রচার করেছে।  মূলতঃ স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের  রেজিস্ট্রেশন নং ও সনদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের একাধকিবার নোটিশ প্রদান করা হয় এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সাথে আমার অফিসে একাধিকবার বৈঠক করে তাদের সকলকে বিষয়টি বুঝানো এবং এটি একটি সরকারী বিধি মোতাবেক  প্রক্রিয়া বলে জানানোর চেষ্টা করলেও, তারা আমাদের কথায় সাড়া দেয়নি প্রতিষ্ঠান। কোর্স সংক্রান্ত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিষ্ঠানকে ভূয়া, মার্কসিট ও সার্টিফিকেট প্রদানে প্রতারণা এবং নার্সিং কাউন্সিলের ওয়েবসাইডে শিক্ষার্থীর তথ্য প্রদর্শন হচ্ছে না বলে বিভিন্ন অসত্য, ভুয়া, মনগড়া অপপ্রচার এবং সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধবংস করার কু-মন্ত্র করছে। পরে তাদের মধ্য থেকে ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ শিক্ষা বর্ষে  ২৩ জন শিক্ষার্থী বিধি মোতাবেক আবেদন করলে তাদের ২৩ জনের সার্টিফিকেট ও নার্সিং কাউন্সিলের ওয়েবসাইডে তাদের/শিক্ষার্থীর তথ্য প্রদর্শন হচ্ছে ।

এই প্রসঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ছলিম উল্লাহ সুজন বিশদভাবে জানান, বিগত ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই তাদের ফলাফল প্রকাশ হলেও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কি ছিল, তা বলে সময় নষ্ট করবো না। দেশের অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে, আমরা ০২/০২/২০২৫খ্রিঃ তারিখে তাদের মার্কসিটগুলো নার্সিং কাউন্সিল থেকে গ্রহণ করি।  তারপর শিক্ষার্থীদের পর পর ৩ বার নোটিশ করি এবং বিষয়টি তাদের বুঝানোর চেষ্টা করি। বিষয়টি তাদের বুঝানোর জন্য ৩ বার আমি ব্যক্তিগতভাবে কোর্টবাজার আমার অফিসে বসার পরও মোহাম্মদ সোহেল ও শফিউল আলমের প্ররোচনার কারণে বারংবার ব্যর্থ হই। তারপর তাদের নিজ উদ্যোগে কাউন্সিলে আবেদন করার জন্য পরামর্শ দিই।  তাতেও তারা রাজি হয়নি। বরং আমার সাথে শফিউল আলম, নুরুল আমিন, ইমতিয়াজ মির ফাতেমা, ইয়াসমিন আক্তার, সাদিয়া আফরিন, সামিনা ইয়াসমিনসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীরা উল্টা-পাল্টা কথা বলে বের হয়ে যায়।  কিছুদিন পর সোহেলের নেতৃত্বে প্রতিষ্টানে গিয়ে বিশৃংখলা করার চেষ্টা করলে আমাকে বিভাগীয় ফোন করলে আমি দ্রুত কক্সবাজার হতে ক্যাম্পাসে রওয়ানা হয়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে তাদেরকে সাথে নিয়ে অধ্যক্ষের রুমে বস। তাদের কথা শুনে, আমি তাদের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আবারও অবহিত করি।  তাদের আবেদনের জন্য বলি কিন্তু তারা আমাদের কথা এবং কাউন্সিলের নিয়ম মানে না বলে, বের হয়ে ক্যাম্পাসে আমার ও প্রতিষ্টানের ব্যাপারে বিভিন্ন আজে-বাজে কথা বলে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। তার ৬/৭দিন পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে বাজেভাবে ভিডিও প্রকাশ করে এবং বাকীদের মাধ্যমে পোস্ট, শেয়ার এবং কমেন্টস করে বিরূপ প্রতিত্রিয়া তৈরি করার চেষ্টা করলে আমি তাদের মধ্য থেকে একজন একজনকে ডেকে এনে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে ২৩ জনকে আবেদন করার ব্যবস্থা করি এবং ২৬/০২/২০২৫খ্রিঃ পর্যন্ত তারা তাদের সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জমা করলে, আমরা দ্রুত তাদের সার্টিফিকেট ও পেশার নিবন্ধন বা রেজিষ্ট্রেশন পাওয়ার জন্য কাউন্সিলে যোগাযোগ করি। সাধারাণত সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করার ৯০দিন পরে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার পাওয়া যায়।  সেখানে আমরা জরুরি ফি জমা দিয়ে অবশেষে গত ২৬/০৪/২০২৫খ্রিঃ তারিখে তাদের সার্টিফিকেট ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার পায়।
এখানে একটি বিষয় না বললে নয়, তা হচ্ছে আমরা ২৬/০২/২৫খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত তাদের জন্য অপেক্ষা করি এবং ১৫/০৩/২০২৫খ্রিঃ তারিখে নার্সিং কাউন্সিলে জমা করে।  ২৬/০৪/২০২৫খ্রিঃ তারিখে অর্থ্যাৎ দেড় মাসের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।  এরপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাশ করার ৪ বছরেও সার্টিফিকেট ও অনলাইনে তাদের ফলাফল বা তথ্য প্রদর্শন করা যাচ্ছে না বলে কক্সবাজার জেলাসহ সারা দেশে একটি ভূয়া প্রপাগান্ডা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে হুমকির মূখে পতিত করেছে।  এসব ভূয়া, মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন আপনাদের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলাসহ দেশের সাধারণ জনগণ ও আমাদের শুভাকাংখী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি এবং সেই সাথে আইন-শৃংখলায় নিয়োজিত সকল বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ও যথাযত তদন্তপূবর্ক বিভ্রান্তকারীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য দিন

প্রকাশিত মন্তব্য

কক্সবাজার


পরিচালনা সম্পাদক: মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক: মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম

© 2025 Dainik Coxsbazar, All Rights Reserved.