কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী ঘাটে যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলে গতকাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এসময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ১৪৩২ সনের জন্য জেলা পরিষদ হতে ইজারাপ্রাপ্ত চৌফলদন্ডী ঘাটের ইজারাদার আতাউল্লাহ মিন্টু নিজে ঘাটে ইজারার টোল আদায় না করে আওয়ামীলীগের কিছু লোকজনকে দিয়ে টোল আদায় করে। ফলে তারা বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য সরকারিভাবে নিধারিত টোলের চেয়ে দ্বিগুন টোল আদায় করছে যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে। এটি গ্রামের সাধারন জনগন পারাপারের ঘাট। এখানে অনেক গরীব মেহনতী পান ব্যবসায়ী লোকজনকেও যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বেশি টোল দিতে না পারলে গরীব লোকজনের গায়ে হাত তোলারও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্মারকলিপিতে দাবি জানানো হয়, নিয়ম অনুসারে ইজারাদার যেন নিজে টোল আদায় করে এবং সরকার নির্ধারিত হারে টোল আদায় করে তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয় জেলা পরিষদ।
এর প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন অভিযোগকারী স্থানীয়দের।